ভূমধ্যসাগরে ডুবে ‘মারা গেছে ৭০০ শরণার্থী’

Slider সারাবিশ্ব
migrant-shipwreck_samakal_b_215197
লিবিয়া উপকূলে গত কয়েকদিনে নৌযানডুবির ঘটনায় ইউরোপগামী অন্তত ৭০০ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।

রোববার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ইতালির দক্ষিণে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া নৌযানগুলেোতে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন; ওই নৌযানগুলো ছিল সমুদ্রযাত্রার পক্ষে অনুপযোগী।

এই বসন্তে আফ্রিকা থেকে ইউরোপ অভিমুখে বিপজ্জনক সাগর পথে শরণার্থীদের ঢল নেমেছে। এটি এখন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ।

ইউএনএইচসিআর মুখপাত্র কার্লোটা সামি গত কয়েকদিনে ভূমধ্যসাগরে শরণার্থীবাহী নৌযানডুবির বিশদ বিবরণ দিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রায় ১০০ অভিবাসী নিয়ে বুধবার ডুবে যাওয়া একটি চোরাকারবারি নৌকার যাত্রীদের এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই নৌকাটির ডুবে যাওয়া ও তার পরবর্তী মুহূর্তের মর্মান্তিক ছবি উদ্ধারকর্মীরা ধারণ করেছেন।

এছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে ভূমধ্যসাগরে চোরাকারবারিদের একটি নৌকাডুবি হয়। ওই নৌকায় চড়ে অন্তত সাড়ে ৫০০ জনের মত শরণার্থী বুধবার লিবিয়ার সাব্রাথা বন্দর থেকে ইউরোপ অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, নৌকাটিতে কোনো ইঞ্জিন ছিল না ও চোরাকারাবারিদের আরেকটি নৌকা দিয়ে সেটিকে উত্তাল সাগরে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

এরপর শুক্রবার ভূমধ্যসাগরে আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৩৫ জনকে জীবিত ও ৪৫ জনের মৃতদেহ করা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এখনও বহু মানুষের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) বলছে, গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে নৌযানডুবিতে মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইতালির টরেন্টো ও পোজ্জালো বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে, ইতালীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জাহাজ শনিবার লিবিয়া উপকূল থেকে ছোটো নৌবহরের অন্তত ৬০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করছে; এ নিয়ে গত সপ্তাহে সাগর থেকে উদ্ধার অভিবাসীর সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

ভূমধ্যসাগরে পরিচালিত বহুজাতিক জাহাজের এটিই সর্বশেষ উদ্ধার অভিযান ছিল বলেও জানিয়েছে ইতালি।

এ প্রসঙ্গে কার্লোটা সামি বিবিসিকে বলেন, ‘সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই জাহাজগুলো গত কয়েক দিনের মধ্যে একসঙ্গে যাত্রা করেছিল…এতে উদ্ধারকর্মীরা মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *