শিশুটির পুরো মুখ জুড়ে এক খন্ড মাংসপি-। পি-টি এমনভাবে বাড়ছে যে নাক ও গালের কোন অস্তিত্বই হারানোর উপক্রম। চোখ দুটির একটি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অন্যটি মাংশপি-ের নিচে। এমন একটি বিভৎস চেহারার ছবি ফেসবুকে দেখে শিশুটির পুরো চিকিৎসারই দায়িত্ব নেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জানা যায়, এমন একটি ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন বান্দরবানের থানচি উপজেলার ফান্সি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো। এই ছবি শেয়ার করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এক বন্ধু। সেখান থেকে নজরে পড়ে মন্ত্রীর। পরে বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুটির বিষয়ে খোঁজ নেন। একই সঙ্গে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। মন্ত্রীর বন্ধু ফান্সি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুটির মা-বাবার মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শুক্রবার তারা বান্দরবান থেকে ঢাকায় আসেন। শনিবার সকালে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড পাস্টিক সার্জারি ইউনিটে শিশুটিকে ভর্তি করেন। মাত্র ১১ মাস বয়সের চিংরু ম্রো নামের ওই শিশুটিকে আজ শনিবার সকালে দেখতে আসেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি শিশুটির চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি জানান দেশে চিকিৎসা সম্ভব না হলে দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। শিশুটির বাবার নাম সিংরাও ম্রো। মায়ের নাম পাইংপাও ম্রো। ৩ সন্তানের মধ্যে এ কন্যা সন্তানটি সবার ছোট। তাদের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। পাহাড়ে জুমচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। জন্মের পর থেকেই শিশুটির মুখে বড় ধরনের মাংসপি- ছিল। ধীরে ধীরে তা আকৃতিতে বড় হয়েছে। এখন পুরো মুখটাই ওই মাংসপি-ে ঢেকে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি এক ধরনের টিউমার এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সরানো সম্ভব।