ব্রাজিলের রাজনীতিতে নাটকীয়তা

Slider সারাবিশ্ব

15166_Brazil

 

 

 

 

 

নাটকীয় মোড় নিয়েছে ‘কালো মানিকের’ দেশ ব্রাজিলে। অভিশংসনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফকে সরিয়ে দেয়ায় সেখানকার রাজনীতিতে এখন গরম হাওয়া। এবার রাজনীতিক নয়, আন্দোলন শুরু করেছেন শিল্পীরা। রুসেফকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে ৬ মাসের জন্য। এ সময়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিচার হবে। তিনি অভিযুক্ত হলে স্থায়ীভাবে পদ হারাবেন। তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমের। কিন্তু সময়ের চাকা বেশি পথ অতিক্রম করার আগেই তার পদত্যাগ দাবিতে সোচ্চার দেশটি।

আস্টিস্ট, প্রযোজক, অভিনেতারা তার পদত্যাগ দাবিতে ব্রাজিলজুড়ে সরকারি ভবনগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন। সঙ্গীতশিল্পী ও সংশিষ্টরা এ সপ্তাহে ব্রাজিলজুড়ে তেমেরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময়ে তারা শ্রোতাদের শুনিয়েছেন মাইকেল তেমেরকে হঠানোর গান। অনেক মানুষ সেøাগান দিয়েছেন ‘তেমের আউট’। ইন্টারনেটে গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে যে, ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট বদমতলবি। শিল্পীদের এই আন্দোলন শুরু হয়েছে ব্রাজিলের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমেরের উদ্যোগ থেকে। ফলে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক বিপ্লব। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন প্রযোজক, সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেতা, বিভিন্ন পর্যায়ের আর্টিস্ট। একে মাইকেল তেমেরের জন্য বিপদজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কারণ, এ আন্দোলনের সঙ্গে দিলমা রুসেফের ওয়ার্কার্স পার্টির কোন যোগসূত্র নেই। রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সামনে কয়েক হাজার মানুষকে বিনা পারিশ্রমিককে, বিনা টিকেটে গান শুনিয়েছেন শিল্পী ক্যাতেনো ভেলোসো। ওই ভবনটি বিক্ষোভকারীদের দখলে রয়েছে। তার গানের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে উপস্থিত জনতা গেয়েছেÑ ‘আই হেট মাইকেল তেমের’। এর আগে সেখানে কার্ল ওরফ অপেরার একটি মেলোডির সঙ্গে মিলিয়ে জনতা গেয়েছে- ‘তেমের আউট’। এক কনসার্টে গাওয়া হয়েছে ‘কারমিনা বুরানা’। শনিবার রাতে ব্রাজিলের বড় শহর সাও পাওলোতে নেই মাতোগ্রোসোর মতো বড় বড় শিল্পীরা ফ্রি কনসার্টে গান গেয়েছেন। সেখানেও জনতা সেøাগান দিয়েছে ‘তেমের আউট’।

রোববারে পারফরম করেন র‌্যাপার ক্রিওলো। এ সময় একটি স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘তেমের নেভার’। দিলমা রুসেফের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিবাদ বিক্ষোভে যে পরিমাণ মানুষ হয় বা তার যে ভাবধারা থাকে তার চেয়ে রিও ডি জেনিরোর এই শিল্পীদের আন্দোলনে ভিন্নতা রয়েছে। তাদের আন্দোলনে রাজনীতি নেই। আছে সংস্কৃতি ও গণতন্ত্রের আবেদন।
ওদিকে মধ্যপন্থি মাইকেল তেমের তার দলকে দিলমা রুসেফের ক্ষমতাসীন জোট থেকে বের করে আনেন মার্চে। তার সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে ব্যবসা বান্ধব একটি প্রশাসন। তবে তিনি যাদেরকে নিয়ে মন্ত্রীপরিষদ গঠন করেছেন তার মধ্যে কোন নারী স্থান পান নি। মন্ত্রীপরিষদের অনেকের বিরুদ্ধে আছে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। এ অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ কেলেঙ্কারিতে দিলমা রুসেফের নাম নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *