অন্যের পুরুষাঙ্গ নিয়ে থমাসের নতুন জীবন

Slider লাইফস্টাইল সারাবিশ্ব

14543_thamas

 

যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম এক ব্যক্তির দেহে সফলভাবে আরেকজনের পুরুষাঙ্গ সংযোজন করা হয়েছে। ৬৪ বছর বয়সী থমাস ম্যানিং ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছিল। গত সপ্তাহে তার দেহে সংযোজন করা হয় আরেক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ। ১৫ ঘণ্টা ধরে এক সফল অস্ত্রোপচারের পর থমাস ম্যানিং এখন বেশ ভালোই আছেন। চিকিৎসকরা একে মানব প্রত্যঙ্গ সংযোজনের ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করছেন। ম্যাসাচুসেটসের হ্যালিফ্যাক্সের বাসিন্দা মিস্টার ম্যানিংয়ের ক্যানসার ধরা পড়ার পর ২০১২ সালে চিকিৎসকরা তার পুরুষাঙ্গ কেটে বাদ দেন। এরপর থেকে মিস্টার ম্যানিংয়ের শরীরে সংযোজনের জন্য কারও দান করা পুরুষাঙ্গ খোঁজা হচ্ছিল। সমপ্রতি এরকম প্রত্যঙ্গ দানকারী এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর গত সপ্তাহে তার পুরুষাঙ্গ সংযোজন করা হয় থমাস ম্যানিংয়ের দেহে। চিকিৎসকরা বলছেন, মিস্টার ম্যানিং এখন প্রস্রাব করতে পারবেন এবং যৌন সক্ষম হয়ে উঠবেন বলে তারা আশা করছেন। থমাস ম্যানিং এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পুরুষাঙ্গ হারানোর পর তিনি নতুন একটি পুরুষাঙ্গ সংযোজনের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। কিন্তু তার একমাত্র দুঃখ হচ্ছে আরেকজন মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাকে এই পুরুষাঙ্গটি পেতে হয়েছে। বিশ্বে পুরুষাঙ্গ সংযোজনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং চীনে আরো দুই ব্যক্তির শরীরে পুরুষাঙ্গ সংযোজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো খুব একটা সফল হয়নি। যেসব মার্কিন সেনা যুদ্ধক্ষেত্রে বোমা বিস্ফোরণে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন, তাদের জন্য এই ঘটনাকে এক বড় আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *