অধ্যাপক রেজাউল হত্যায় স্বীকারোক্তি, দাবি পুলিশে​র

Slider জাতীয়

2015_11_10_13_29_37_6MuQ2jvQkTDnIRvJM0nGOHAH9Q4Fzq_original

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে আবদুল্লাহ নামের এক আসামি।

আজ সোমবার বিকেলে রাজশাহীর ২ নম্বর মহানগর হাকিম আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মো. শামসুদ্দিন জানান, গতকাল রোববার রাতে বগুড়া থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নগরের শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার সামনে শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় সাকিব ছাড়া আরও তিনজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের কাছে থেকে কিছু তথ্য পেয়েছে। সেসব তথ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষার্থীরা টানা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিক্ষক-ছাত্র-সুধী সমাবেশে’ যোগ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের ‘খুব কাছাকাছি’ পুলিশ। ‘অতি শীঘ্রই’ হত্যাকারীদের জনগণের সামনে হাজির করার আশ্বাসও দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই কথা জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক।
অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংহতি ও মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকারীরা অবশ্যই গ্রেপ্তার হবে এবং এই সরকারের আমলে তদন্ত শেষ করে আসামিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

কিন্তু অধ্যাপক রেজাউলের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি এ তদন্তের বিষয়ে তাঁদের কিছু না জানিয়ে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে পাবলিকলি সবাইকে সব অগ্রগতি সম্পর্কে না জানানো যেতে পারে, কিন্তু পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা তো জানতে চাইতে পারি, সত্যিই তারা কতটা কাছাকাছি গেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *