ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি; চতুর্থ দফার ইউপি নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রকাশ্যে ব্যবহার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। অস্ত্র উচিয়ে এলাকার ভোটারদের দেখানো হচ্ছে নানা ধরনের ভয়ভীতি। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে অপরিচিত লোকজন। পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কর্মী সমর্থকদেরও দেখানো হচ্ছে নানা হুমকী। এদিকে বুধবার দুপুরে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে হরিনারায়পুর হাজীপাড়ায় নৌকা প্রতীক প্রার্থীর বাড়ির পাশে সাদা পাঞ্জাবী পরিহিত অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে দেখা গেছে আগ্নেয়াস্ত্র। নির্বাচনের আগে লাইসেন্স করা সব ধরনের অস্ত্র জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানেন নি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. সোহাগ। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন প্রকাশ্যে তাদের লাইসেন্স করা শটগান ও পিস্তল নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন এবং নৌকা বাদে অন্য কোথাও ভোট না দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত দুই ধরে মাইক্রোবাস ও মোটর সাইকেলে করে অস্ত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। এতে এলাকার ভোটাররা শঙ্কিত হয়ে উঠছে। এর প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে গত মঙ্গলবার শহরের নুরজাহান প্লাজার আবাসিক হোটেল আল সাউদ থেকে সর্টগান ও ৭ রাউন্ড গুলিসহ সাব্বির মাহমুদসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। দিনভর নাটকীয়তার পর ৫৪ ধারায় অভিযোগ দিয়ে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। যদিও পুলিশ প্রশাসন বলছে, ওই আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। এর পরেও নির্বাচনী এলাকায় অগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার যা থানা পুলিশের জানার বাইরে। প্রকাশ্যে এধরনের অস্ত্র ব্যবহার প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।