বিএনপির নিবন্ধন বাতিলে ইসিতে অভিযোগ উত্থাপন

Slider রাজনীতি

 

 

BNP-ECsm20160503063641

 

 

 

 

ঢাকা: নানামুখী চাপের মুখে থাকা বিএনপি যখন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, সে সময় দলটির নির্বাচনী যোগ্যতা কেড়ে নেওয়ার দাবি উঠলো নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। রাজনৈতিক দল হিসেবে দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস।

আইন অনুযায়ী, কোনো দল নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন না নিলে বা নিবন্ধন না থাকলে সেই দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা রাখে না।

তৃণমূল কংগ্রেস সোমবার (মে ০২) বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামকে চিঠি দিয়েছে।

দলটির যুক্তি, ‘উচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক ১৯৭৫ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল ও দল গঠন ছিল অবৈধ ও বেআইনি।’

এই যুক্তিতে বিএনপির নিবন্ধন ও ধানের শীষ প্রতীক বাতিল বা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামকে পাঠানো ওই চিঠিতে দলটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন গাফফার আরও বলেন, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ‘গমের শীষ’ প্রতীক চেয়ে ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন করেও বিএনপির অভিযোগের কারণে নিবন্ধন পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতি অবিচার ও বঞ্চিত করেছে।

তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে নিবন্ধন দিয়ে গমের শীষ প্রতীক দেওয়ার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দলগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য সর্বশেষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। সেই সময় এক ডজনেরও বেশি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টসহ (বিএনএফ) কয়েকটি দল শর্ত পূরণ সাপেক্ষে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসিতে নিবন্ধন পায়।

এদিকে বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ প্রায় ৩৫টি দল ২০০৮ সালে শর্তপূরণ করে ইসিতে নিবন্ধন নেয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪০টি।

২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস, বাংলাদেশ তৃণমূল লীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে দলটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস।

দলটির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই মুহূর্তে ইসির কিছু করণীয় নেই বলে  জানান সংস্থাটির উপ-সচিব পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা।

তাদের মতে, বিএনপি ২০০৮ সালে শর্ত মেনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছিল। কাজেই শর্ত ভঙ্গ করলে অথবা শর্ত না মানলেই কেবল বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হবে। সে ক্ষেত্রেও নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *