সোমবার দুপুরে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌমন্ত্রী ও জাহাজ মালিকদের মধ্যে এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বেতন বাড়ানোর ঘোষণা পেয়ে নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও তাতে আপত্তি জানিয়ে পণ্যবাহী নৌযান চালানো বন্ধ রেখেছিলেন মালিকরা। নৌযান শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দেন পণ্যবাহী জাহাজ মালিকরা।
তাদের দাবি, বেতন বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে গেলে অনেক ক্ষতি হবে। এ কারণে গত ২৭ এপ্রিল থেকে ধর্মঘট শুরু করেন তারা। ধর্মঘটের আওতায় কার্গো, কোস্টাল ও লাইটারেজ জাহাজ বন্ধ ছিল।
সোমবার নৌমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ কার্গো ভ্যাসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত বেতন নির্ধারণ কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিবে, তাই মালিকরা মেনে নেবে। এখন থেকে জাহাজ চলবে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি যুক্তিসংগতভাবে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মালিকেরা আজকের এই ঘোষণা দেন। তবে তিনি মনে করেন, শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।