গাজীপুরে স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসি

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ

justic pc
পারভিন আক্তার/মোঃ জাকারিয়া
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস : স্কুল ছাত্রকে অপহরণ করে  হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি ও একজনের সাত বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে গাজীপুর আদালত।

বৃহসপতিবার বেলা আড়াইটায় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ খালেদা ইয়াসমিন ওই রায় দেন।

ফাঁসির দন্ড প্রাপ্তরা হলেন,  সাহেব আলী(৩০) পিতা হাজী মোতালেব হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন সুমন(২০) পিতা আলী ইউসুফ মিয়া ও নাহিদুল ইসলাম নাহিদ(১৮) পিতা নজরুল ইসলাম মিয়া। তিনজের বাড়ি টঙ্গী থানাধীন আউচপাড়া এলাকার মোক্তারবাড়ি রোডে।

একই রায়ে অপর আসামী মোঃ হান্নানকে  ৭ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড ও ২০হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়েছে। তার পিতার নাম আঃ আজিজ। বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার ইজারাবন্ধ গ্রামে। তিনি গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় পুলিশ ফাড়ির পশ্চিম পাশে জনৈক জমু সরকারের বাসায় ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করতেন।

নিহত স্কুল ছাত্রের নাম ইনজামুল হক(১৪)। পিতা সফিউদ্দিন মোল্লা। বাড়ি গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকায়। ইনজামুল ঢাকার উত্তরাস্থ সৃষ্ট্রি সেন্টাল স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র ছিলো।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১০ অক্টোবর বাড়ির সামনে থেকে ইনজামুলকে অপহরণ করা হয়। অতঃপর মুক্তিপন না পেয়ে খুন করে লাশ ঘুম করা হয়। এই ঘটনায় ভিকিটমের দুলাভাই মোবারক আকন্দ বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি অপহরণ মামলা করেন। পরবর্তি সময় টঙ্গী থানা পুলিশ আসামী হান্নানকে আটক করে ঘটনার গুরুত্বপূর্ন তথ্য পায়। পরে পুলিশ আটক অপর আসামী ইব্রাহিম হোসেন সুমনের দেখানোমতে, টঙ্গীর মোক্তারবাড়ি রোডের জনৈক জোবায়ের হোসেনের পরিত্যক্ত বাড়ির কক্ষ থেকে ইট-পাথর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ইনজামুলের লাশ উদ্ধার করে। আটক আসামীদের বরাত দিয়ে মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামী সাহেব আলীর সঙ্গে ১লাখ ২০ হাজার টাকার চুক্তিমুলে ইনজামুলকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পূর্বে সাহেব আলী, নাহিদ ও সুমনকে ২ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করে। হত্যাকান্ডের পর  সাহেব আলী বাকী টাকা দিতে ঘরিমসি করলে করলে সুমন ও নাহিত নিহত ইনজামুলের মায়ের নিকট ফোন করে টাকা দাবি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি নাসির উদ্দিন শিপন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *