অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই হত্যাকাণ্ড: প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয়
untitled-1_208733
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘উন্নয়ন বিঘ্নিত করা ও দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্যই ইমাম, পুরোহিত ও ফাদারদের লক্ষ্য করে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে এবং  বিশ্বের যেকোনো স্থানে হত্যাকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।’

বুধবার সরকারের ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনায় তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনিটরিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের একথা জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। খবর বাসসের

প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতি ও ওহিও অঙ্গরাজ্যে একই পরিবারের আট সদসস্য হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপরাধীদেরকে বিচারের সম্মুখিন করতে পারবে।

দেশে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে আন্দোলনের নামে প্রকাশ্যে মানুষ পুড়িয়ে মারার সঙ্গে জড়িত অশুভ শক্তির হাত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা খুনের ঘটনাগুলো তদন্ত করছে এবং তদন্তের মাধ্যমে সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করা হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘হত্যাকারীরা মসজিদে যাওয়ার পরিবর্তে নামাজের সময়ে মানুষকে হত্যা করতে গেছে। প্রকৃতপক্ষে, হত্যাকারীদের আল্লাহর ওপর বিশ্বাস এবং কোনো জাতীয় পরিচয় নেই।’

তিনি বলেন, ‘আল্লাহ হচ্ছে সর্বোত্তম বিচারক। তাহলে তারা কিভাবে ধর্ম রক্ষার নামে হত্যা করে।’

তিনি এই ধরণের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

এটি ছিল ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা কমিটির চতুর্থ সভা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা।

ইহসানুল করিম বলেন, ‘সভায় ১০টি ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে চায়। কারণ, দেশের সার্বিক উন্নয়ন এগুলোর বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

তিনি বলেন, ‘দেশের দক্ষিণাংশে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এসব এলাকা দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত ছিল। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা বজায় রাখতে হবে।’

২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার আরো ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তার সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সর্বাধিক স্বচ্ছতার সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *