যুক্তরাষ্ট্রেও শফিক রেহমানের বিচার হতে পারে

Slider জাতীয়

 

11222_f4

 

 

 

 

 

 

 

 

বিএনপি এবং সুশীলসমাজের একটি অংশ শফিক রেহমানের সাফাই গাইতে ব্যস্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এক ফেসবুক পোস্টে গতকাল তিনি এই মন্তব্য করে বলেন, তাই আমি এ বিষয়ে কিছু নিরেট বাস্তবতা তুলে ধরছি। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, অভিযুক্ত এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক টেক্সট মেসেজে লিখেছে যে, রিজভী আহমেদ সিজার আমাকে ‘অফ’ করতে চায়।

মেরে ফেলার অর্থে স্ল্যাং হিসেবে আমেরিকায় এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়। তাই, আহমেদ তার ষড়যন্ত্রের সহযোগীকে বলেছে, সে আমাকে হত্যা করতে চায়, আর সেটা সে গ্রেপ্তার হওয়ার অনেক আগেই।  গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে জেরার দায়িত্বে থাকা এজেন্টদেরও সে একই কথা জানিয়েছে। ট্রায়ালের মাধ্যমে আহমেদ দোষী সাব্যস্ত হয়নি। সে অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধে দোষী বলে নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে, যা গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীরা মামলা হেরে যাওয়া ও দীর্ঘ কারাবাস এড়াতে করে থাকে। হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার দীর্ঘ সময় জেল খাটার সম্ভাবনা থাকলেও সেই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সে কারাবাসের মেয়াদ কমিয়েছে।
লাস্টিকের সঙ্গে শফিক রেহমানের সরাসরি যোগাযোগ ছিলো। যদি তথ্য যোগাড় করার জন্য কোনো সাংবাদিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেয়, সেক্ষেত্রে সেটা অপরাধ। এটা যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি অপরাধ তাই যুক্তরাষ্ট্রেও শফিক রেহমানের বিচার হতে পারে।
সবশেষে জানাতে চাই, শফিক  রেহমান মার্কিন নাগরিক না হয়েও ঘুষের মাধ্যমে এফবিআইয়ের গোপন নথি কিনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এটা গুপ্তচরবৃত্তি এবং এর শাস্তি  কোনো দুর্ভেদ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলে আজীবন কারাবাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *