‘আগের চেয়ে ভালো ভোট হয়েছে’

Slider জাতীয়

11106_csc

 

 

 

 

 

গত দুই ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন তুলনামূলক ভালো হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আগামী ধাপগুলোতেও এ ধারা অব্যাহ থাকবে। এদিকে বিএনপি বলছে, এটা অর্থহীন নির্বাচন। এতে জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন হয়নি। জোর জবরদস্তির এ নির্বাচনের সাক্ষী গোপাল ইসি।

আজ বিকালে তৃতীয় ধাপে সারাদেশের ৬১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন বলছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘণের অপরাধে এ ধাপে ১৬৪ জনকে ৪ লাখ ১০ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া এক জনকে ১ মাসের এবং অপর এক জনকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় সারাদেশের ৬ হাজার ৭৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

ইসির দাবি অনুযায়ি, এই সংখ্যাটি গত দুই ধাপের চেয়ে কম। প্রথম ধাপে ৬৫টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩৫টি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছিল। গতকাল সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ পরবর্তী পর্যালোচনা তুলে ধরতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিইসি। সিইসি জানান, সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন নির্বাচনের স্বার্থে আগেই গাজীপুরের পুলিশ সুপার ও দুই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন হতে সার্বক্ষণিক দেশব্যাপি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন মনিটরিং করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রথম দুই ধাপের তুলনায় খুবই কম। একটি কেন্দ্রে ব্যলট বাক্স ছিনতাই প্রতিহত করার সময় দুইজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন। দুটি কেন্দ্রে পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভোটগ্রহণের আগের রাতে কোনো অনিয়ম সংঘঠিত হয়নি। ভোট চলাকালেও বড়ধরণের কোনো অঘটন ঘটেনি। কোনো গোলযোগ হয়নি। সতর্কমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের ফলে প্রথম দুই ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ধাপের তুলনায় আগামী ধাপগুলোর নির্বাচন আরও ভালো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সিইসি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অন্ষ্ঠুানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমরা চাই আগামীতে সহিংসতা শূন্যের কোঠায় চলে আসুক। দুইদিন আগে প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যপারে ইসিকে তাগিদ দিয়েছেন। এর প্রভাবেই কি নির্বাচন তূলনামূলক ভালো হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা সব সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করি। আমরা চাই তারা আমাদেরকে সহযোগীতা করুক। ভোটকে কেন্দ্র করে কেন সহিংসতা হবে? রাজনৈতিক দলের কর্মীদের অসহিষ্ণুতার কারণে সহিংসতা ঘটছে। মাথা ঠা-া রেখে কাজ করলে ও সবার মত প্রকাশে সাহায্য করলে কোনো অঘটন ঘটবে না। বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ভালো নির্বাচন করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। এখান থেকে আমরা কোনো বন্ধ করিনি। এই দায়িত্ব প্রিজাইডিং অফিসারের। তারা উপযুক্ত কারণে কেন্দ্র বন্ধ করেছেন।

আমরাও এখান থেকে মনিটরিং করেছি। ভোটের আগের রাতে জালিয়াতি ও সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের আগের রাতে কোনো জালিয়াতির খবর আমাদের কাছে নেই। সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ দুঃখজনক। তবে আগের রাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া কারো কেন্দ্রে যাওয়া ঠিক নয়। আমরা আমাদের কর্মকর্তাদেরও নিষেধ করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *