বাঁশখালীতে নিহত বেড়ে ৬, তিন মামলা, আসামি ৬০০০

Slider গ্রাম বাংলা ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার মুখোমুখি

FNS04042016M-02

 

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নির্মাণের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের গুলিতে  নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল  বিকালে পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হন।  নিহত ব্যক্তিরা হলেন গণ্ডামারা ইউনিয়নের চরপাড়ার দুই ভাই মরতুজা আলী (৫৫) ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম (৪৪), একই ইউনিয়নের রহমানিয়া সিনিয়র মাদরাসা এলাকার বাসিন্দা জাকের আহমদ (৬০) ও  মো. জাকের হোসেন। এছাড়া আজ সকালে গুলিবিদ্ধ আরও দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা হলেনÑ জহিরুল ইসলাম ও মেয়ে (অজ্ঞাত)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গুলিবিদ্ধ আরও ১০-১৫ জন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে বাঁশখালীতে নিহতের হওয়ার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা করেছে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও একটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে দেড়  থেকে দুই হাজার জনকে। আজ সকালে বাঁশখালী থানায় এসব মামলা করা হয়। এরপর থেকে বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুরুষদের রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয়  লোকজন বলছে, গ্রেপ্তার এড়াতে গ্রামবাসী সতর্ক রয়েছে। নিহত আনোয়ারুল ইসলাম ও মরতুজা আলীর ভাই মওলানা বশির আহমেদ বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৪ থেকে ১৫শ’ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এজাহারে ছয়জন আসামির মধ্যে বসতভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলীও রয়েছেন। নিহত জাকের হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম আরেকটি হত্যা মামলা করেছেন। এজাহারে তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাহার মিয়া বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের অভিযোগে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা এক হাজার জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *