সম্পাদকীয়: আশার আলোর শেষ ঝিলিক ২৩ এপ্রিল

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা বাধ ভাঙ্গা মত সম্পাদকীয়

file

 

৬ ধাপের মধ্যে দুই ধাপে ৩৪ জন সাধারণ মানুষের রক্তে মাখা দুই ধাপের ইউপি নির্বাচন অবশেষে জাতীয় বিতর্কে পড়ে গেল। প্রশ্নবিদ্ধ ভোট বাতিলের দাবি করে নতুন নির্বাচনের কথা তুলল সরকারের শরীক দল জাতীয় পার্টি। আর ভোট বর্জনের হুমকি দিচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সরকারের আরো দুটি শরীক দল ওয়ারকার্স পর্টি ও জাসদও বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। দেশী বিদেশী লোকজন বলছে, রক্তের বিনিময়ে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। জনগনের ভোট  দিতে গিয়ে যদি রক্ত দিতে হয় তবে এই ভোটের প্রয়োজন নেই।  সরকার বলছে, বিএনপি ভোট থেকে সরে গেলে নিশ্চিহৃ হয়ে যাবে। এর অর্থ হল সরকার চায় বিএনপি নির্বাচনে থাকুক। তবে সরকারের শরীক দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়ায় প্রমান হচ্ছে সরকার চাপে পড়ে গেছে। আর বিতর্কে পড়ে গেছে চলমান ইউপি নির্বাচন। এই সূত্র ধরে বিএনপি বলছে, আওয়ামীলীগের অধীন জাতীয় নির্বাচনে যাবে না তারা।

সংবাদ বিশ্লেষনে দেখা যায়, সরকারের চাপে কোনঠাসা বিএনপি পরাজয় জেনেও আত্মরক্ষার জন্য স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে অংশ নিচ্ছে। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, আগামী জাতীয় নির্বাচন আওয়ামীলীগের অধীন বিএনপি কে করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপও সৃষ্টি হত। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিজ দলের পক্ষে রাখতে গিয়ে আওয়ামীলীগ ভবিষৎ সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিল।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিটিকরপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ একটি মেয়র না পেলেও ক্ষমতার কোন পরিবর্তন হত না। সরকারের উচিত হয় নি বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচিত মেয়রদের সরিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়া। আর দেশের সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারী দলের না হলেও সরকারের কোন ক্ষতি ছিল না। আর উন্নয়নের দাবিদার আওয়ামীলীগ সরকার তাদের দলের পক্ষে কোন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি পাবে না এমন পরিস্থিতিও নেই। সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামীলীগ এমনিতেই যথেষ্ট আসন পেত। তাই অতি মাত্রায় দলীয় করণ করে সরকার ভবিষৎ অনিশ্চিত করছে।

সাধারণ মানুষ আশা করেন, এখনো সময় আছে সরকার বাকী নির্বাচন গুলো যদি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করে রক্তপাতহীন ভোট উপহার দেয় তবেও কিছুটা আশার আলো জাগতে পারে ।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *