টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল দুরন্ত নিউজিল্যান্ডের সামনে উজ্জীবিত ইংল্যান্ড

Slider খেলা

 

2016_03_29_21_29_06_ZS6fQUbQy0Vj1YQJxrOrj7znv2LNP6_original

ঢাকা: টুর্নামেন্টের একমাত্র দলই তারা, যারা হারেনি একটি ম্যাচও। প্রতি ম্যাচেই প্রায় প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। টি২০ বিশ্বকাপে তাই সমীহ জাগানো দল নিউজিল্যান্ড। অথচ এই দলটি আগের পাঁচ টি২০ বিশ্বকাপে একবারও খেলতে পারেনি ফাইনাল। সর্বোচ্চ অর্জন সেমিফাইনাল, ২০০৭ সালে। নয় বছর পর আবারো টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কিউই শিবির। হাতছানি দিচ্ছে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার।

তা করতে হলে ইংল্যান্ড বাধা দূর করতে হবে। টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। যারা জিতবে, তারাই খেলবে তিন এপ্রিলের রোমাঞ্চকর ফাইনাল। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি, মাছরাঙা টিভি, বিটিভি, স্টার স্পোর্টস ১ ও ৩।

সুপার টেন পর্বে টানা চার জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ডও কম যায়নি। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারলেও, পরের তিন ম্যাচ টানা জিতে সেমিফাইনালে নাম লেখায় ইংলিশ শিবির। শেষের তিন ম্যাচের জয়ে ভীষণ উজ্জীবিত মরগ্যান শিবির। কিউইদের বধ করে দ্বিতীয়বারের মতো টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে নাম লেখাতে প্রস্তুত তারা।

২০১০ সালে প্রথমবারের মতো টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। সেবার ফাইনালে কেভিন পিটারসের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটে বৈশ্বিক কোন শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। এবার সামনে দুটি ধাপ, পেরুতে পারলেই দেখা মিলবে টি২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা।

তবে টি২০ ক্রিকেটে পরিসংখ্যান ফেবারিট বলছে নিউজিল্যান্ডকে। টি২০ ক্রিকেটে এ পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ১৩বার। তাতে সিংহভাগ জয় নিউজিল্যান্ডের, ১০টিতে। তিনটিতে জয় ইংল্যান্ডের। এর মধ্যে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ছয় ম্যাচে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। পাত্তা পায়নি ইংল্যান্ড। সুপার টেন পর্বে চার ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬৮ রান করা ইংল্যান্ডের জো রুট অবশ্য আশা জাগাচ্ছে ইংলিশদের।

ফাইনালে উঠতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ ইংলিশ অধিনায়ক মরগ্যান। যদিও নিউজিল্যান্ডকে পূর্ণমাত্রায় সমীহ করছেন তিনি, ‘গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। যা তাদের ইতিহাসে সেরা ক্রিকেট সম্ভবত। তবে আমরাও বিভিন্ন স্টেজে নিজেদের চিনিয়েছি। সেমিফাইনালের আগে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ফাইনালে চোখ রেখেই মাঠে নামব আমরা’।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের কন্ঠেও একই সুর, ‘গ্রুপ পর্বটা ভালো কেটেছে আমাদের। তবে এবার নক আউট ম্যাচ। হারলেই বিদায়। ফলে চাপ থাকছে এই ম্যাচে। তবে দল উজ্জীবিত। সেরাটা দিতে পারলে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলব আমরা।’

ইংল্যান্ড একাদশ (সম্ভাব্য): জ্যাসন রয়, আলেক্স হেলস, জো রুট, জস বাটলার, ইয়ন মরগ্যান, বেন স্টোকস, মঈন আলী, আদিল রশিদ, ক্রিস জর্ডান, ডেভিড উইলে, লিয়াম প্লাংকেট।

নিউজিল্যান্ড একাদশ (সম্ভাব্য): মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামসন, কলিন মুনরো, কোরি অ্যান্ডারসন, রস টেইলর, গ্রান্ট ইলিয়ট, লুক রঞ্চি, মিশেল সান্টনার, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি, মিশেল ম্যাক্লিনাঘান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *