শিরোনাম দেখে মনে করবেন না ভুল হয়েছে। কোনো চলচ্চিত্র কিংবা নাটকের দৃশ্যও নয়। ঘটনাটা পুরোপুরি সত্যি। চিত্রনায়ক নিরব ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রী তাশফিয়া তাহের ঋদ্ধিকে। এ কারণে গায়ে হলুদের বালাই ছিলো না। কিন্তু এ নিয়ে কনের অতৃপ্তি ছিলো।
অবশেষে বিয়ের দুই বছর তিন মাস পর নিরব-ঋদ্ধির গায়ে হলুদ হলো। শনিবার (২৬ মার্চ) রাতে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের একটি রেস্তোরাঁয় এ অানুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন ও নিরব-ঋদ্ধি দম্পতির কাছের বন্ধুরা। এসেছিলেন সংগীতশিল্পী বিপ্লব, আরফিন রুমি, চিত্রনায়ক ইমন। সোমবার (২৮ মার্চ) সেনাকুঞ্জে হবে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
এতোদিন পর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করা প্রসঙ্গে নিরব বললেন, ‘ঋদ্ধির দুঃখ ছিলো, বিয়েতে ভালোভাবে সাজগোজ করতে পারেনি! প্রতিটি বাঙালি মেয়েরই অবশ্য এ ইচ্ছা থাকে। তাই ওর ইচ্ছা পূরণ করতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা। এখানে হাতেগোনা কয়েকজনকে নিমন্ত্রণ করেছিলাম। তবে সেনাকুঞ্জে বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই আসবেন।’
দুই বছর আগে নিরব-ঋদ্ধির বিয়েতে ছিলেন কেবল বর-কনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু। মেয়েকে অপহরণ করার দায়ে নিরবের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এমএ তাহের চৌধুরী ও মুর্শিদা আকতার। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর অন্য একজনের সঙ্গে ঋদ্ধির আকদ হওয়ার কথা ছিলো। উত্তরার একটি বিউটি পার্লার থেকে তিনি পালিয়ে এলে নিরব তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যান। সেখানেই সন্ধ্যায় তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ে করে ভালো বিপাকেই পড়েছিলেন নিরব। অপহরণের মামলা হওয়ায় কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। ঋদ্ধির পরিবার মেয়ের ইচ্ছাকে ধীরে ধীরে মেনে নিয়েছেন।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিরব-ঋদ্ধির পরিচয়। দিনাজপুরের মেয়ে ঋদ্ধি সেদিন অটোগ্রাফ নিতে এসেছিলেন। ১০ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রথম ফোনে কথা হয়। আর একুশে ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় প্রথম দেখা করেন তারা। ধীরে ধীরে তাদের যোগাযোগ রূপ নেয় প্রেমে। বিয়ের মধ্য দিয়ে এর সফল সমাপ্তি হয়।