বাবারে কালামের অত্যচারে আর পারছি না, ছেলে সন্তান নিয়ে এলাকায় থাকবার। রাতে ঘুমাইবার পারি না। মধ্য রাতে কালামের ভাইদের অত্যচারে। এমন ভাবে দুঃখ ভরা কন্ঠে বলছিলেন কালাম দারোগার হাতে নির্যাতিত পাঁচ সন্তানের জননী জোবেদা খাতুন। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের পশ্চিম সুনাব গ্রামের আবুল হাশেমের স্ত্রী। একই এলাকার মৃত উছেম উদ্দিনের পুত্র আবুল কালাম আজাদ ও তার সহদোর ভাইদের নিয়ে জমি দখল, চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে এলাকার সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তার কালো থাবার শিকার জোবেদা থাতুন জানান, মৃত উছেম উদ্দিনের পুত্র ঢাকার উত্তরখান থানার (এস.আই) আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ পাগলা থানার কনেস্টবল সুলতান, সহিদ ও রশিদদের অত্যাচারে আমার পরিবারের সদস্যরা এখন অতিষ্ঠ। মিথ্যা মামলা দিয়ে জমি দখল করে নেওয়ার পায়তারা করেছে দীর্ঘদিন যাবত। আমাদের বাড়ির অঙ্গিনায় দূরগন্ধযুক্ত মুরগীর লীটার ফেলার কারণে বাড়ি ঘরে বড়সহ ছোটের নিয়ে থাকা এখন দূবীসহ হয়ে উঠেছে। দূরগন্ধর কারণে শিশুদের নানা রকম রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন সময় রাতে বেলা বাড়িতে সিটকেটে ডাকাতির চেষ্টা করে। এবং এলাকায় মানুষকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে জমি দখল করায় তাদের একমাত্র কাজ। আমরা সকল এলাকা বাসিকে নিয়ে পুলিশ মহা পরির্দশকের কাছে একখানা অভিযোগ দায়ের করেছি। তার পরও আমাদের উপর অত্যাচার দিগুণ করছে কালামের ভাইরা। অপরাগ হয়ে আবার শ্রীপুর মডেল থানায় সাধারণ ডাইরি (৫৩৮-১৩,৩,২০১৬) করেছি। উলেøখ: সুনাব গ্রামের কালাম দারোগার প্রতিবেশি জমন্দর আলীর ছেলে মফিজ উদ্দিন জানান,দুই বছর পূর্বে বিভিন্ন থানায় প্রায় ১৯টি চার্জসিটভুক্ত মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করে কালাম দারোগা। অবশেষে তার অত্যাচারে বাধ্য হয়ে বাবার ভিটামাটি বিক্রি করে অন্যত্র চলে আসি। একই গ্রামের পলøী চিকিৎসক চঞ্চল জানান, পূর্ব শ্রত্রæতার জেরে ১৩ মার্চ রাতে কালামের নির্দেশে বলদীঘাট এলাকা থেকে আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ডি.বি পুলিশ আটক করে। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা রফদফায় আমাকে ডি.বি পুলিশ ছেড়ে দেয়। এই ভাবে বিভিন্ন সময় সাধরণ মানুষকে হয়রানি করে।
অভিযোগ সুত্রে পাওয়া যায়, ৮ মার্চ ২০১৬ সনে এলাকার ৮৫জন লোকজনের স্বাÿরিত (এস.আই) কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে বিচার প্রার্থনা চায় বাংলাদেশ পুলিশের মহা-পরির্দশককের কাছে। অভিযোগে আরো পাওয়া যায় বেআইনি ভাবে কালাম প্রচুর অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন। তার পরিমান অর্থ গচ্ছিতসহ অবৈধ সম্পত্তির পরিমান প্রায় আনুমানিক ৪ কোটি টাকার কাছকাছি এমন তথ্য অভিযোগে পাওয়া যায়। কর্মস্থল থেকে উদ্ধারকৃত অবৈধ মাদক ও অস্ত্র দ্বারা স্থানীয় থানায় সংবাদ দিয়া মামলা মোকাদ্দমার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করিয়া নিস্ব করারও অভিযোগে আছে। কনেস্টবল সুলতান আহম্মেদসহ তাদের সহদোর ভাইদের অভিযোগের শেষ নেই এলকাবাসির।