অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬ বাংলাদেশী বোঝাই নৌকা ডুবিয়ে দেয়ার অভিযোগ

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা সারাবিশ্ব

5221_naz-6

ইন্দোনেশিয়া থেকে সমুদ্রপথে অস্ট্রেলিয়াগামী ছয় বাংলাদেশীকে বহনকারী নৌকা ডুবিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে সংস্থাটি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ওই নৌকাটিই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ডুবে যাচ্ছিল। তারাই বরং আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্যার্থে এগিয়ে যায়। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। তবে ওই বাংলাদেশীদের আবারও ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে যেতে বাধ্য করে অস্ট্রেলিয় সীমান্ত পুলিশ। অস্ট্রেলিয় কর্তৃপক্ষের এ আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। বৃটেনের স্কাই নিউজ জানিয়েছে, ৬ বাংলাদেশী আশ্রয় প্রার্থীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার এমন আক্রমণাত্মক নীতির সমালোচনা করেছে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরমানাথা নাসির বলেন, ‘আমরা এ ধরণের আচরণ সমর্থন করি না। বিশেষ করে সমুদ্রে তো নয়ই। কারণ, এতে বিপদ ঘটতে পারে।’

খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কুপাং থেকে ছয় বাংলাদেশী ও দুই ইন্দোনেশিয়ান ক্রু অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে যাত্রা শুরু করেন। প্রায় তিন ধরে তারা সমুদ্রে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সীমানার ভেতরে প্রবেশ করার পর তাদের নৌকার ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় নৌকাটি ডুবে যাচ্ছিল। তখন অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার বাহিনী তাদের ‘সহযোগিতায়’ এগিয়ে যায়।
কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা টেঙ্গারা ওয়াটার পুলিশের পরিচালক টেডি জেএস মারবান মঙ্গলবার বলেন যে, আশ্রয়প্রার্থীদের সকলের বয়স ২৩-৪৫ বছর। তারা জানায়, নৌকা ডুবে যাওয়ায় তাদের সব নথিপত্র হারিয়ে গেছে। তিনি বলেন, এদের সবার দাবি, অস্ট্রেলিয়ানরাই নৌকাটি ডুবিয়ে দেয়। এতে তাদের পাসপোর্ট সহ সব নথিপত্র হারিয়ে যায়।
আবার অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার ফোর্সেস কমিশনার রোমান কুয়াদভি¬য়েগ এক টুইটার পোস্টে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, নৌকাটিকে ছিদ্র করে দেয়া হয়নি। বরং এটি সমুদ্রে চলাচলের উপযোগী ছিল না। তাই ডুবে যায়।
ইন্দোনেশিয়ান ওয়াটার পুলিশের পরিচালক মারবান অপরদিকে এএফপিকে বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে সমুদ্রে চলাচলের পর অস্ট্রেলিয়া পুলিশের নৌকা ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র সীমানায় প্রবেশ করে। এরপর তারা ওই আশ্রয়প্রার্থীদের ইন্দোনেশিয়ার একটি মাছ ধরার নৌকায় করে ফেরত যেতে বলে। তবে এ সময় আশ্রয়প্রার্থীদের খাবার, জ্বালানি ও লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়েছিল। নৌকার ক্যাপ্টেন ইসাই রানো বলেন, ছয় আশ্রয়প্রার্থীকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি ৭ হাজার ডলার পেয়েছেন। বর্তমানে মানবপাচারের অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ায় তার বিচার চলছে। প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের কারাদ- ভোগ করতে হবে তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *