নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ : তোবার সব কারখানা খুলে দেয়ার দাবি

গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ সারাদেশ

1604403_936668886358992_899997373606830886_n

গ্রাম বাংলা ডেস্ক: তোবা গ্রুপের বন্ধ কারখানাগুলো অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ১৪টি সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ি নতুন জোট শ্রমিক ঐক্য। সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজ এ দাবি জানানো হয়। এসময় জোটের নেতারা নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সমালোচনা করে বলেন, উনি কখনো শ্রমিক, কখনো সরকার, আবার কখনোবা মালিকের ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু তোবার কারখানাগুলো খোলার ব্যাপারে তিনি এখন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছেন। তার এই নিরবতা কি অর্থ বহন করে তা শ্রমিকরা জানতে চায়।
নতুন জোট গঠনের কারণ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বঞ্চিত-শোষিত শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ল্েয এ জোটের আত্মপ্রকাশ। জোটের অধিনস্ত সংগঠনগুলো হলো- জাতীয় শ্রমিক পার্টি, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফোরাম, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী জোট, বাংলাদেশ শ্রমজীবী কেন্দ্র, সংযুক্ত নির্মাণ ও কাঠ শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, জাতীয় নীট ডাইং গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, জাতীয় ঘাট শ্রমিক পার্টি, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন এবং ঢাকা মহানগর সিএনজি অটো রিক্সা ও মিশুক শ্রমিক ইউনিয়ন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কনভেশনের পূর্ব পর্যন্ত নতুন ‘শ্রমিক ঐক্যের’ সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভানেত্রী আনোয়ারা বেগম। এছাড়া ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আলমগীর মজুমদার যুগ্ম-সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নৌ-মন্ত্রীর সমালোচনা করে আলমগীর মজুমদার বলেন, তোবা গ্রুপের এমডি দেলোয়ারকে মুক্ত করার জন্যই এই কারখানার ১৬শ’ শ্রমিককে নিয়ে নাটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে অসহায় শ্রমিকদের নিয়ে কিছু বাম ধারার রাজনৈতিক দলও রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, কিছু শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের পে বড় বড় কথা বললেও কাজের বেলায় নেই। বরং তারা শ্রমিকদের ব্যবহার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *