অনেক সিনিয়র নেতার বয়স হয়েছে, তরুণদের জায়গা দিতে হবে

Slider জাতীয় টপ নিউজ বাংলার আদালত রাজনীতি

jbj

 

বেগম জিয়া তিন দশকের বেশি সময় ধরে দলের চেয়ারপারসন। তার সামনে এখন দুটো সমস্যা। সরকারের নানামুখী ‘আক্রমণে’ দল ক্রমেই কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, দলীয় কার্যক্রমে এসেছে স্থবিরতা। অনেক নেতা বয়সের ভারে ন্যুব্জ। অন্যরা মামলায় জর্জরিত। গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এক সাক্ষাৎকারে বেগম জিয়া বলেন:
আমাদের অনেক সমস্যা। প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের। অথচ শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করছেন। তারা জোর করে ক্ষমতায় আছে। মানুষ কি তাদের ভোট দিয়েছে? সবসময় গালিগালাজ করে। এটা কি রাজনীতির ভাষা? আমি পরি না। গালিগালাজ শিখি নাই।
দলে (বিএনপি) অনেক সিনিয়র নেতা আছেন। তাঁদের বয়স হয়েছে। তরুণেরা দায়িত্ব নিতে চায়। তাদের জায়গা করে দিতে হবে। দল পুনর্গঠনের কাজ চলছে।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদের সদ্য প্রকাশিত বই ‘বিএনপি: সময়-অসময়’ এ খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থে মহিউদ্দিন আহমদ আরও লিখেছেন, ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের নৈতিক বৈধতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আকাঙ্খা থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার তেমন একটা চাপে নেই। এর প্রধান কারণ হলো বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা। অনেক নেতা ঝুঁকি নিতে চান না। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা হামলা-মামলায় ঘরছাড়া, দিশেহারা। অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে। আন্দোলন এর রাজনীতিতে বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে আবার ফিরে আসতে পারবে কি না বলা মুশকিল। ২০১৩-১৪ সালের সহিংস নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপি দুর্বলতর হয়েছে।
২০১৪ সালে যেভাবেই হোক একটা নির্বাচন করিয়ে আওয়ামী লীগ চালকের আসনে বসে গেছে। বিএপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচন ছাড়া গতি নেই। নির্বাচনের পথ একবার ছেড়ে দিয়ে আবার সেই পথে ফিরে আসার একটা জোর চেষ্টা চলছে দলের মধ্যে। কিন্তু গত কয়েকবছরে দলটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। দলের পুনর্গঠন এবং পনরুজ্জীবনই এই মুহূর্তে বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য দরকার গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব এবং দলীয় সংহতি। বিএনপির মধ্যে এ দুটোই নড়বড়ে হয়ে গেছে। নেতৃত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে দলটিকে কার্যকর করার সাফল্যের মধ্যেই বিএনপির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
মহিউদ্দিন আহমদ আরও লিখেছেন, বাংলাদেশ এখন এভাবেই চলছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পকেটে পুরেছে। বিএনপি দেশের ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে’র চাবিটা আঁচলে বেঁধে রেখেছে। এই দুই দলের হাঁক-ডাকের মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষ খাবি খাচ্ছে। তার পরও বলতে হবে, এরাই নিকট ভবিষ্যতে টিকে থাকবে। যদিও কোন পরিবর্তন আসে, তবে সেটা হয়তো আসবে এই দুই দলের ভেতর থেকেই। জনগনের এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। রাজনীতিকেরা যতই বিকল্প শক্তির কথা বলুন না কেন, আসমান থেকে সহসা তা টুপ করে পড়ার সম্ভাবনা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *