এ বছর অনাহারে থাকবে আফ্রিকার দেড় কোটি মানুষ

Slider সারাবিশ্ব

 

2016_01_19_10_30_14_a5dLKpDZpg7qspiTRuUb6H12VWb3wv_original

 

 

 

 

ঢাকা: আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোতে খরার কারণে খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবছর ক্ষুধার্ত থাকবে সেখানকার ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। সোমবার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সংক্ষেপে এফডব্লিউপি কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

জাতিসংঘের এই অঙ্গ সংগঠনটি বলছে, ২০১৬ সালে খরার কারণে আফ্রিকার এ অঞ্চলটিতে খাদ্য সঙ্কটে পড়বে আরো বেশি মানুষ। গতবছরের অনাবৃষ্টির কারণে এবছর ক্ষুধার্ত থাকবে ওই অঞ্চলের তিনটি দেশ যেমন: মালাবির ২৮ লাখ, মাদাগাস্কারের ১৯ লাখ এবং জিম্বাবুয়ের ১৫ লাখ মানুষ। গত মাসেই খরার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ লেসোথো। সরকার বলেছিল, ২০১৬ সালে খরার কারণে পর্যাপ্ত খাদ্য পাবে না দেশের এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ সাড়ে ছয় লাখ মানুষ।

উৎপাদন স্বল্পতা ও যোগান অপ্রতুলতার কারণে ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে খাদ্য পণ্যের দাম দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে এফডব্লিউপি। এ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আর্থারিন কাজিন এক বিবৃতিতে বলেছেন,‘এ বছর নিজের পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন করতে পারবে না আফ্রিকার ওই অঞ্চলের মানুষগুলো। অল্প যে পরিমাণ ফসল তারা উৎপান করবে তাও বিক্রি করে দেবে বাচ্চাদের স্কুলের বেতন ও অন্যান্য গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটানোর জন্য।’ যে কারণে খাদ্য সঙ্কটে পড়ছে সেখানকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ।

আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলে প্রতি দুই থেকে সাত বছর অন্তর অনাবৃষ্টি বা খরার কারণে ফসল বিনষ্ট হয়। তবে ২০১৫ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বেশি ছিল যা তাদের খাদ্য সঙ্কটে ফেলেছে। আফ্রিকার এ অঞ্চলটি ভৌগলিকভাবে এল নিনোর দ্বারা প্রভাবিত।

এদিকে গত সপ্তাহেই ইথিওপিয়ার ৪ লাখ শিশু চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে বলে জানিয়েছিল জাতিসংঘ। তারা আরো জানিয়েছিল, দেশটির ১ কোটি লোকের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *