অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারভিন সুলতানা দিতির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তিনি দীর্ঘদিন ভারতের চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি(এমআইওটি) হাসপাতলে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ বিকেল ৪টার দিকে প্রায় তিন মাস পর ছেলে শাফায়াত ও মেয়ে লামিয়া সহ ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। শারীরিকভাবে আগের অবস্থায়ই রয়েছেন দিতি। জানা যায়, ঢাকায় ফেরার পর তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান। তিনি মানবজমিনকে বলেন, মাত্র শুনলাম তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে। চেন্নাইয়ে যাবার আগে আমি তাকে যেমন খারাপ অবস্থায় দেখেছি, বর্তমানে সেরকমই আছেন বলে খবর পেয়েছি। আমরা শিল্পীরা সবাই সময় করে তাকে দেখতে যাবো। তার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে দোয়া রইল। ঢাকায় ফেরার কয়েকদিন আগে দিতির মেয়ে লামিয়া ফেসবুকে দীর্ঘ একটি পোস্টে জানান, তার মা এখন কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস নিচ্ছেন। মায়ের শরীরে আরও একটা অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে তা সম্ভব নয়। মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। গত বছরের ২৯শে জুলাই চেন্নাইয়ে মাদ্র্জা ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজিতে (এমআইওটি) দিতির মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর আগে ঢাকায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন দিতি। তখন তার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। এরপর ২৫শে জুলাই তাকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২০শে সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন দিতি। চেন্নাই থেকে ফিরে আসার পর বাসায় ছিলেন তিনি। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ৩০শে অক্টোবর তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকায় ফিরে বেশ কিছুদিন সুস্থ ছিলেন। এরপর মস্তিষ্কে পানি জমায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত দিতিকে দ্বিতীয়বারের মতো চেন্নাইয়ে নেয়া হয়। ৩রা নভেম্বর আবারও তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়। এরপর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অসুস্থ হওয়ার আগে দিতি দুটি নতুন ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছিলেন। একটি ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ এবং অন্যটি ‘মেঘে ঢাকা শহর’। পাশাপাশি তিনি বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘রাজা বাবু’ ছবির কাজও করছিলেন।