ইজতেমা ময়দানে বিদেশিসহ লাখো মুসল্লি

Slider জাতীয়
006_184592
রাজধানীর উপকণ্ঠ টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দলে দলে আসছেন তাবলিগ জামাতের সদস্যরা। এরই মধ্যে সহস্রাধিক বিদেশি মেহমানসহ লাখো মুসল্লি বুধবার রাত পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানের বিশাল সামিয়ানার নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে তুরাগ তীর।
 
শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
তাবলিগের  রেওয়াজ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পরই ইজতেমা ময়দানে তিন দিনব্যাপী সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান, ইবাদত-বন্দেগির নিয়ম-কানুন ও করণীয় নিয়ে বয়ান শুরু হবে।
আগামী তিন দিন ধরে ইজতেমায় ইমান, আমল, আখলাকসহ তাবলিগের ছয় উসুল বা মূলনীতির ওপর বয়ান করবেন তাদের শীর্ষ মুরব্বিরা।
এ বছর প্রথম পর্বে ১৬ জেলা এবং দ্বিতীয় পর্বে ১৬ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা ২০১৭ সালে অনুষ্ঠেয় ইজতেমায় অংশ নেবেন।
এ ব্যাপারে আগেই বিভিন্ন জেলা তাবলিগ জামাতের আমিরদের মাধ্যমে মুসল্লিদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
এবারের ইজতেমায় প্রথম পর্বে অংশ নেবেন ঢাকা জেলার একাংশ, নারায়ণগঞ্জ, শেরপুর, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, পঞ্চগড়, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, নড়াইল, মাগুরা, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, ভোলা ও ঝালকাঠির মুসল্লিরা।
দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন ঢাকা জেলার একাংশ, নেত্রকোনা, ফরিদপুর, জামালপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ, খুলনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও পিরোজপুরের মুসল্লিরা।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান গাজীপুরের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। এরই মধ্যে ময়দানের আশপাশে পুলিশ ও র‌্যাবের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা ও পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তার বিষয়ে কড়া নজরদারি থাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *