বর্জন করবেন না, ভোট গণনা পর্যন্ত থাকুন

Slider রাজনীতি

 

031607Pic-17

 

 

 

 

 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘এখনো উনি নির্বাচনে থাকবেন কি না আমার সন্দেহ আছে। সেই দিকেই কিন্তু তারা এগিয়ে যাচ্ছে।’ সৈয়দ আশরাফ গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে দলের সার্বিক অবস্থান তুলে ধরতে আওয়ামী লীগ এর আয়োজন করে।

সৈয়দ আশরাফ খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আরো বলেন, ‘আপনি নির্বাচনে থাকুন। বর্জন করবেন না।

ভোট গণনা পর্যন্ত থাকুন। কারণ গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন খুবই জরুরি। নির্বাচন বিতর্কিত করে আপনার কোনো লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রীরও এতে কোনো লাভ নেই। নির্বাচন বিতর্কিত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেটা তো আমরা হতে দিতে পারি না। তাই আসুন নির্বাচনটা উৎসবমুখর পরিবেশে করি।’

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচনে যাতে সবার অংশগ্রহণ থাকে, উৎসবমুখর হয়। সেভাবেই আমরা এই নির্বাচনটা করতে চাই। নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমি মনে করি, কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে। আর সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা। সেটা সরকার শতভাগ নিশ্চিত করবে।’

পৌর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগের সমালোচনা করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘তাদের অভিযোগের প্রত্যেকটা বিষয় আমরা ইনভেস্টিগেশন করেছি। কিন্তু একটারও সত্যতা খুঁজে পাইনি। নির্বাচনের প্রস্তুতি যেদিন থেকে শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই বিএনপি এবং বিএনপিঘেঁষা দলগুলো নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবকটিতে জিতে গেলেও সরকারের কিছু আসবে-যাবে না। আবার একটাতে না জিতলেও ৩১ ডিসেম্বর সরকারের পতন হবে না। নতুন সরকারের প্রশ্ন আসবে আগামী সাধারণ নির্বাচনের পর। তবে আওয়ামী লীগের নিজস্ব জরিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র-কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা জয়ী হবেন। এখন নির্বাচনের দিন বোঝা যাবে, কোন জরিপ সঠিক।’

সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘সকলকে অনুরোধ করব যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। এ জন্য সহযোগিতা করবেন। কারণ একে একবার বিতর্কিত করলে তা ফিরিয়ে আনতে কিন্তু অনেক সময় লাগবে।’

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, সেটা এখন কোনো ইস্যু নয়। পৌরসভা নির্বাচনের সঙ্গেও এটা সম্পৃক্ত নয়। তাহলে তিনি কেন এই বিতর্ক তৈরি করলেন, এর কারণ কী? নিশ্চয়ই এর পেছনে তাঁর কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে।’

খালেদার উদ্দেশে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আপনি দেশের গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসেন, আর মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চান—সেটাই হবে আপনার দেশপ্রেমিক রাজনীতির প্রমাণ।’

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো দিনই সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়নি। এটা এ দেশের প্রথা নয়। জাতীয় নির্বাচনে তাদের প্রয়োজনে তলব করা হয়। সেনাবাহিনী মোতায়েন অতীতেও হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, আবদুস সোবহান গোলাপ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *