আলোচনায় ফেসবুক-বায়োমেট্রিক, টেলিকমে আলোর রেখা

Slider জাতীয়

 

images

 

 

 

 

ঢাকা: বছরের অর্ধেকটা সময়, প্রায় সাড়ে ৫ মাস। অভিভাবক পেয়ে গতি পেয়েছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও অধীনস্ত দফতরগুলো। ২০১৫ সালে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তারানা হালিমের এই অল্প সময়েই সবচেয়ে আলোচিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

মোবাইল সিম ও রিম কার্ড নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক তথা আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার পদ্ধতি চালু, একই নম্বরে সব অপারেটরের সেবা পাওয়ার অনুমোদন ছিল বিদায়ী বছরের আলোচিত বিষয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য চুক্তিও ছিল আলোচিত ঘটনা।

বছরের শেষ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সাময়িক বন্ধ করা নিয়ে সমালোচনা হলেও তাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে সরকার।

মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ইন্টারনেটের মূল্য কমানো, বেসরকারি অপারেটর রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়া নিয়ে আলোচনায় ছিল টেলিকম খাত।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মপরিকল্পনা, রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকে গতি আনার বিষয়গুলোও আলোচনায় এসেছে এ বছর।

গত ১৪ জুলাই নতুন তিনজনের সঙ্গে দায়িত্ব পান তারানা হালিম, যিনি এখন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী। ১৬ জুলাই দায়িত্ব বুঝে নিয়ে ৯০ দিনের কর্মপরিকল্পনা তৈরির ঘোষণা দিয়ে তা বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন এই প্রতিমন্ত্রী।

আঙ্গুলের ছাপে আলোর রেখা
৬ সেপ্টেম্বর। টেলিযোগাযোগ বিভাগে বৈঠকে সিম নিবন্ধন ও পুন:নিবন্ধনের উদ্যোগের কথা জানান তারানা হালিম। ৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসিকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে চিঠি দেন। এরপর গতি পায় এ কার্যক্রম।

হয়রানি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং জঙ্গিবাদ এড়াতে এ উদ্যোগ বলে সে সময় বাংলানিউজকে জানান তারানা হালিম। এটা চ্যালেঞ্জ ছিলো, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

১৬ ডিসেম্বর বিটিআরসিতে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গত ২১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। এরপর ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটরগুলোর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে ২০১০ সালে প্রথম সিম নিবন্ধনের উদ্যোগ নিলেও তা থমকে যায়।

সারা দেশে ছয়টি অপারেটরের রিটেইলার পর্যায়ে ৮১ হাজার ৫০০টি ডিভাইস দিয়ে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। প্রথম দিকে সফলতা না এলেও এখন ৯০ শতাংশের ওপরে ভেরিফিকেশনে সঠিক তথ্য আসছে।

সরকারের নির্দেশনায় মোবাইল অপারেটরদের বিজ্ঞাপন ও বিলবোর্ডে সতর্ক বার্তা যাচ্ছে নিবন্ধনের বিষয়ে।

নকল রোধে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এনআইডি’র সঙ্গে চুক্তি
সিম নিবন্ধনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি না থাকায় গ্রাহকদের তথ্য পাচ্ছিলো না অপারেটরগুলো। এজন্য অপারেটরদের সঙ্গে এনআইডি কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয়েছে। সে চুক্তি অনুযায়ী গ্রাহকদের তথ্য ভেরিফিকেশন হচ্ছে।

মার্জার
টেলিকম খাতে আরেকটি আলোচনার বিষয় বেসরকারি অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়া নিয়ে। বিটিআরসি বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে একীভূতের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। নিয়মানুযায়ী আদালতের অনুমতির জন্য গেছে দুই অপারেটর। দুই অপারেটর মনে করছে একীভূত হলে প্রতিযোগিতায় বাড়বে সেবা।

ফেসবুক
বছরের আলোচিত-সমালোচিত ঘটনা ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ হওয়ার খবর। ১৮ নভেম্বর সরকার ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ কয়েকটি অ্যাপস বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হওয়ার ২৩ দিনের মাথায় ১০ ডিসেম্বর ফেসবুক খুলে দেয় সরকার। আর ভাইবার, হোয়াটসাঅ্যাপ, লাইন, ট্যাঙ্গো, হ্যাঙ্গআউট, স্কাইপি, ইমো এবং টুইটার খুলে দেওয়া হয় ১৪ ডিসেম্বর।

এ সময়টি প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হলেও তারা মেনে নিয়েছিলেন বলে দাবি করে আসছে সরকার।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে
৩০ নভেম্বর চুক্তির জন্য আলোচনা করতে উদ্যোগী হয়ে নিজেই চিঠি দেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। একদিন পর জবাব দিয়ে বাংলাদেশে এসে ৬ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুকের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের কর্মকর্তা দিপালী লিবার হেন (দক্ষিণ এশিয়ার পলিসি ম্যানেজার) ও বিক্রম লাংয়ের (রাজনৈতিক ও আইন উপদেষ্টা) বাংলাদেশে এসে ইতিবাচক সাড়া দেন।

তারানা হালিম বলছেন, এখন নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আশা করছি, আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে আগামী বছরের মধ্যে চুক্তি করতে পারবো।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপনের লক্ষ্যে বিটিআরসি এবং ফ্রান্সের মহাকাশ সংস্থা থ্যালেস এলেনিয়া স্পেসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ১১ নভেম্বর।

‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপন প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপন করা হবে।

অবৈধ ভিওআইপি
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অবৈধ ভিওআইপি নিয়ে কড়া বাক্য উচ্চারণ করেছেন টেলিযোগাযোগ বিভাগে। সে ধারাবাহিকতায় অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে কড়াকড়ি করেছে সরকার। এজন্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম নিজেও ছুটে চলেছেন অবৈধ ভিওআইপিবিরোধী অভিযানে।

এমএনপি
মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সংক্রান্ত লাইসেন্সিং গাইডলাইন চূড়ান্ত অনুমোদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শিগগিরই লাইসেন্সের নিলাম অনষ্ঠিত হবে। এতে গ্রাহকেরা ৩০ টাকায় ৪৫ দিন এক নম্বরে সব অপারেটরের সেবা পাবেন।

টেলিটকে গতি
রাষ্ট্রায়ত্ব এই মোবাইল অপারেটর নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। প্রথম থ্রি-জি নিয়ে এলেও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না। গতি আনতে কমিটি হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নিয়েও কাজ করবে।

টেলিটক থ্রি-জি প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭টি বিভাগীয় এবং ৬৪টি জেলা শহরে থ্রি-জি প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে টেলিটক নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী এবং থ্রি-জি নেটওয়ার্ক গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘মর্ডানাইজেশন অ্যান্ড এক্সপানশন অব টেলিটক টু-জি/থ্রি-জি নেটওয়ার্ক আপ টু রুরাল এরিয়া’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।

টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ, অনলাইনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফরম, ট্রেনের টিকিট ক্রয় এবং ইউটিলিটি খাতের বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এইচএসসিতে জিপিও-৫ প্রাপ্তদের বিনামূল্যে টেলিটকের সিম প্রদান ছাড়াও খেতাবপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে টেলিটকের সিম ও ৫০০ টাকার ফ্রি- টক টাইম প্রদান করা হচ্ছে।

ইন্টারনেট নিরাপত্তা
সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে সমাজ ও দেশবিরোধী প্রচারণা রোধে মনিটরিং ও প্রতিহতকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট সেফটি সল্যুশন্স (আইএসইস) যন্ত্র কেনার কাজ করছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি
দেশে ক্রম প্রসারমান টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিগুলো বিশেষ করে মোবাইল ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রসার সুনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে টেলিডেনসিটি প্রায় ৮৩.০৯ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ডেনসিটি প্রায় ৩৪.৪০ শতাংশ।

বর্তমানে মোবাইল গ্রাহক ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পাঁচ কোটি ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার।

বিটিআরসি’র আয়
বিটিআরসি সরকারের অন্যতম বৃহৎ রাজস্ব (নন-ট্যাক্স) আদায়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কমিশন ৪.২১৯.১৯ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩৭৯.৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করেছে।

সাবমেরিন ক্যাবল
বাংলাদেশে বর্তমানে একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবল থাকায় এর বিকল্প হিসাবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ SEA-ME-WE-5 নামক সাবমেরিন ক্যাবল কনসোটিয়ামের সঙ্গে ২০১৪ সালের ৭ মার্চ Construction & Maintenance Agreement সই করে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প ২০১৫ সালের ১২তম একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৬৬০ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১৫০০ জিপিপিএস ব্যান্ডউইথ অর্জন করতে সক্ষম হবে। SEA-ME-WE-5 সাবমেরিন ক্যাবলের Design cable life আনুমানিক ২০ বছর। এ ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন হবে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায়।

২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হতে পারবে।

ইন্টারনেট ব্যয়
জনগণের জন্য ইন্টারনেটের ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে ইন্টারনেট ব্যান্ডইউথের মূল্য ক্রয়সীমার মধ্যে এসেছে এবং দেশে ইন্টারনেটের প্রসার বৃদ্ধি, ডিজিটাল ডিভাইড হ্রাস ও আইটিভিত্তিক সার্ভিসগুলোর বিকাশসহ নানামুখী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সরকার বর্তমানে ব্যান্ডইউথের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি মেগাবাইট ৬২৫ টাকা।

ডাক বিভাগ
ডাক অধিদফতরের মাধ্যমে মোবাইল মানি অর্ডার সার্ভিস, ক্যাশ কার্ড চালু হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ৮৫০০টি গ্রামীণ ডাকঘরকে ই-সেন্টারে রুপান্তরের প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫০০টি ডাকঘরে পোস্ট ই-সেন্টার চালু করা হয়েছে।
আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে আরো ১৫০০টি এবং ২০১৭ সালের ৩০ জুন অবশিষ্ট ৩০০০টিসহ সর্বমোট ৮৫০০টি ডাকঘরে পোস্ট-ই-সেন্টার চালু হবে।

নতুন টেলিফোন সংযোগ
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ঢাকা শহরের পুরনো ডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেম প্রতিস্থাপন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা শহরের ১ লাখ পুরনো ডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেম প্রতিস্থাপনসহ ১ লাখ ৩৯ হাজার নতুন টেলিফোন সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে ঢাকা শহরের টেলিফোন গ্রাহকরা টেলিফোনের মাধ্যমে ভয়েসের পাশাপাশি উচ্চগতির আধুনিক ইন্টারনেট ও ডাটা সার্ভিস সুবিধা ভোগ করতে পারছেন।

১০০০ ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার
বিটিসিএল ১ হাজারটি ইউনিয়ন অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৬৪টি জেলায় ৯৮টি উপজেলার ১ হাজার ৬টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কিমি অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করে ৩০০টি ইউনিয়নকে অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। এ প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণ ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুনে সমাপ্ত হবে।

পাশাপাশি ‘উপজেলা পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় ২৯০টি উপজেলায় ৭ হাজার ৪৬০ কিমি অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে ১২৬টি উপজেলায় ২ হাজার ২৪৬ কিমি অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন এবং ৩৪৯টি সাইটের মধ্যে ৫২টি সাইটে যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *