প্যারিস হামলার ঘটনায় আরও দুই সন্দেহভাজনের খোঁজে রয়েছে পুলিশ। এরা সরাসরি হামলায় অংশ না নিলেও হামলাকারীদের সহায়তা করেছে বলে জানানো হয়েছে বেলজিয়ান প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে।
গত ১৩ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ও এর আশেপাশের ছয়টি ভিন্ন এলাকায় পৃথক হামলা চালায় জঙ্গিরা। এসব হামলায় ১৩০ জন নিহত ও সাড়ে তিন শতাধিক আহত হন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন হামলাকারীও রয়েছে। ঘটনার পরদিন জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর দায় স্বীকার করে নেয়।
হামলার পরপরই নিজ নিজ দেশে অভিযান শুরু করে ফরাসি ও বেলজিয়ান পুলিশ। এসব অভিযানে আবদেলহামিদ আবাউদসহ সংশ্লিষ্ট সব জঙ্গিই নিহত হয়। তারপরও আরও জঙ্গি থাকতে পারে সন্দেহে অভিযান অব্যাহত রাখে দুই দেশেরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বেলজিয়ামের প্রসিকিউটর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, যে দুই সন্দেহভাজনকে খোঁজা হচ্ছে, তারা ‘সশস্ত্র ও বিপজ্জনক’। ধারণা করা হচ্ছে, গত সেপ্টেম্বরে তারা প্যারিস হামলায় অংশ নেওয়া একজন জঙ্গি সালাহ আব্দেসলামকে হাঙ্গেরি পাড়ি জমাতে সহায়তা করে।
বেলজিয়ামের পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন দুই জঙ্গির প্রকৃত নাম জানা না গেলেও নকল নাম জানা গেছে। এরা হলেন, সৌফিয়ানে কায়াল ও সামির বৌজিদ। গত সেপ্টেম্বরে হাঙ্গেরি-অস্ট্রিয়া সীমান্তে যখন আব্দেসলামকে থামানো হয়, তখন তার সঙ্গে এই দুই নামের পরিচয়পত্রধারী দু’জন সঙ্গী ছিলেন।
শুধু তাই নয়, সৌফিয়ানে কায়াল নামধারী ভূয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্যারিস হামলার পরও ফ্রান্সের রাজধানী শহরে ভাড়া বাসার সন্ধান করা হয়েছে।
আর সামির বৌজাদ নামধারী ভূয়া পরিচয়পত্রে আব্দেলহামিদ আবাউদের চাচাত বোন হাসনা আইতবৌলাশেনকে অর্থ পাঠানো হয়েছে। এ অর্থ হামলার চারদিন পর পাঠানো হয়। তবে সেন্ট ডেনিসে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে আবাউদ ও আইতবৌলাশেন দু’জনই নিহত হন।
এদিকে, ২৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আব্রিনি নামে অপর এক সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বেলজিয়াম। হামলার আগে আব্দেসলামকে বহনকারী গাড়িটির চালক ছিলেন ওই ব্যক্তি।