ঢাকা: সমশের মবিন চৌধুরীর পর দল থেকে পদত্যাগ করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এমএম শাহরিয়ার রুমী। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য হন। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৫ (ভাঙ্গা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। ২০০২ সালে বিএনপিতে যোগ দেন।
এ সম্পর্কে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘১৩ বছর বিএনপিতে ছিলাম। তবে আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে ভুল করেছি।’
যদি ভালো না-ই লাগে বিএনপিতে যোগদানের কারণ কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। এরপর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য হয়েছি। এরপরও বিএনপিতে যোগ দিয়েছি। এটা শুধুই দলীয় কর্মীদের (আওয়ামী লীগ) হামলা, মামলা ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য।’
তিনি আওয়ামী রাজনীতির আদর্শে বিশ্বাসী দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা একজন এমএলএ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বন্ধুও ছিলেন তিনি। আমার রক্তে মিশে আছে আওয়ামী লীগ।’
দলের নেতাকর্মীরা এটাকে কীভাবে নিবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কেউ ভালোভাবে নেবে না।’
আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছি না। তবে বিএনপির সঙ্গে আর নেই।’
প্রসঙ্গত, রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রুমী নিজেই পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছেন। তার পদত্যাগপত্রটি ইতিমধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপনের কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে তিনি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের ঠিকানায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে বাংলামেইলকে জানান রুমী।
এদিকে এমএম শাহারিয়ার রুমি গত ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে কাজী জাফরউল্লাহর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে তিনি মাত্র ৫ হাজার ৬৩২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।