দুঃশাসনের অবসান জরুরি: খালেদা জিয়া

Slider রাজনীতি
1445795419
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দেশ যখন অপশাসনে নিপতিত হয় তখন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল্যবোধ-অঙ্গীকার হুমকির সম্মুখিন হয়। বাংলাদেশে এখন একটি বিনাভোটের সরকার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত। তারা দমন-নিপীড়ণের মধ্য দিয়ে জনগণের কণ্ঠ রোধ করে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শুধুই ক্ষমতায় থাকতে এখন বিভোর হয়ে উঠেছে। এই দুঃশাসনের অবসান হওয়া জরুরি।’
৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষায় সৈনিক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উত্স। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রমেই কর্ত্ত্বত্ববাদী হয়ে ওঠার এক পর্যায়ে একদলীয় বাকশালী একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা রূপ পেয়েছিল। এমনি এক প্রেক্ষাপটে মতাদর্শগত কোন্দল যখন চরমে উঠেছিল তখন আওয়ামী লীগেরই একটি বৃহত্ অংশ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একটি অভ্যুত্থান সংগঠিত করে ক্ষমতা দখল করে। এরই ধারাবাহিকতায় ঐ বছরের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি অংশ আধিপত্যবাদের ভাবনায় প্ররোচিত হয়ে তত্কালীন সেনাবাহিনীর প্রধান মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে স্বপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে। দেশবাসী ও সশস্ত্রবাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা উপলব্ধি করতে পারেন-জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ত্বকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছে।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তকে রুখে দেয়ার জন্য অকুতোভয় সৈনিক-জনতা এক ইস্পাত কঠিন ঐক্যে শপথবদ্ধ হন ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক বিপ্লব সংঘটনের জন্য। তারা বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেন তাদের প্রিয় সেনাপতিকে। এই ঐতিহাসিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশ নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। বহুদলীয় গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *