রাজন হত্যার রায় ৮ নভেম্বর

Slider নারী ও শিশু

97680_f8

 

 

সিলেটের শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আগামী ৮ নভেম্বর মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত বাদীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা মামলার স্বপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ওই তারিখ দেন।

রায়ের তথ্য নিশ্চিত করে পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী জানান, আজ আদালতে রাজন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১১ আসামি হাজির ছিল। এই মামলায় অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

গত ১ অক্টোবর মামলায় সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়। ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জনের জবানবন্দি শোনেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ সাক্ষীর পুনরায় জবানবন্দি শোনেন আদালত।

গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে ভ্যান চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। নির্মমভাবে পেটানোর দৃশ্য ভিডিও করেন হত্যাকারীদের সহযোগীরা। তারা নিজেরাই সেই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন। ভ্যান চুরির অপবাদ দিয়ে রাজনকে পেটানো হলেও এই মামলার অন্যতম আসামি ময়না চৌকিদার তাকে বলাৎকার করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে পেটান বলেও অভিযোগ আসে।

নির্মমভাবে পিটিয়ে রাজনকে হত্যার পর তার লাশ গুম করার চেষ্টা করার সময় জনতার সহায়তায় পুলিশের হাতে আটক হন মুহিদ আলম।

রাজনকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ও গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হলে তোলপাড় শুরু হয় সারা দেশে। এর মধ্যে মুহিদের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুল যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন এমন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি পালিয়ে যান। ১৩ জুলাই তাকে সৌদি প্রবাসীরা আটক করেন। প্রায় একই সময়ে সিলেটে আটক হন মুহিদের স্ত্রী পপি বেগম। মুহিদের নিজ বাড়ি শেখপাড়া এলাকা থেকে পপিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজনকে হত্যার বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদ আসে সমাজের সব মহল থেকে। মূলত প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ১৪ জুলাই দুপুরে রাজনের শহর সিলেটেও ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বেশ বড়সড় একটা সমাবেশ হয়। হাজারো মানুষ এতে যোগ দেন।

১৬ আগস্ট আলোচিত এই মামলায় ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে সৌদি পুলিশের হাতে বন্দি কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হলেও তাকে পলাতক উল্লেখ করা হয়। এরপর ১৫ অক্টোবর ইন্টারপোলের সহায়তায় সৌদি আরব থেকে কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *