উঁচু জমির ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি গ্রাম বাংলা

 

 

2015_10_21_09_35_29_5njdvmXmJDxnAICp1RYHdoQAGF0Qkk_original

 

 

 

 

চলতি আমন মৌসুমে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোরসহ উঁচু এলাকার মাত্র ৩০ শতাংশ জমির ধান কৃষকরা সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশঙ্কা করছেন কৃষিবিদসহ কৃষকরা। সময়মতো প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমশের আলী জানান, তানোর এলাকায় আমন আবাদের ওপরে মাঠ পর্যায়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, তানোর এলাকায় যেসব জমিতে গভীর নলকূপের পানি পৌঁছাতে পারে কেবলমাত্র সেইসব জমির ধান কৃষকরা সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারবে। আর এ ধরনের জমির পরিমাণ মোট আমন চাষের মাত্র ৩০ শতাংশ। এছাড়া আরও ৪০ শতাংশ জমির ধান পানির অভাবে ফলনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর বাকি ৩০ শতাংশের ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন না।

শুধুমাত্র এ সমস্যা রাজশাহীর তানোর উপজেলাই নয়। আশপাশের কয়েক উপজেলার একই অবস্থা।

সমশের আরও জানান, এ বিষয়ে তিনি লিখিত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় চলতি বছর আমন চাষ হয়েছে ৭২ হাজার ৩২৬ হেক্টর জমিতে।

মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার গৌরাঙ্গপুর গ্রামের কৃষক বাবু জানান, বর্ষার পানির ওপরে ভরসা করে দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। অসময়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সময়ে এসে আকাশের বৃষ্টি নেই। তার ওই জমিতে সেচের পানিও নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তার দুই বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

বাধাইড় ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের কৃষক জহুরুল জানান, তিনি এবার আট বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এরমধ্যে তিন বিঘা জমির ধান পানির অভাবে মরে গেছে। অবশিষ্ট পাঁচ বিঘা জমি কিছুটা নিচু থাকার কারণে কোনোভাবে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে।

এ পরিস্থিতি পাশের গোদাগাড়ী উপজেলায়। উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের শগুনা গ্রামের কৃষক বিনয় বর্মণ জানান, পানির অভাবে তার তিন বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *