আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধনের উদ্বোধন বুধবার

Slider তথ্যপ্রযুক্তি

 

1445340303

 

 

 

 

সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপপদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে বুধবার। এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার ৯০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তারানা হালিম বলেন, সিম নিবন্ধনে আঙুলের ছাপ পদ্ধতি নভেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি এগিয়ে এনে বুধবার থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। নিজের ৯০ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও কাজ করতে পারে। গত ৯০ দিনে আমি  সেই চেষ্টাটাই করেছি।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে এ বায়োমেট্রিক পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করবে মোবাইল ফোন অপারেটরা। এর আগে বুধবার এ পদ্ধতির পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রীত্বের তিন মাসের অর্জন সম্পর্কে বলেন, আমি মন্ত্রিত্ব গ্রহণের পর ৯০ দিনের একটি কর্ম পরিকল্পনা দিয়েছিলাম। আজকে আপনাদের সামনে পরিকল্পনার অগ্রগতি তুলে ধরছি।

তিনি বলেন, ১৭ জুলাই থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসের এই পরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে টেলিফোন শিল্প সংস্থা। সবচেয়ে দূর্বল অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাব মেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড। তারানা হালিম জানান, আগামী বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে মোবাইল সিম নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। এরপরও যারা নিবন্ধনের বাইরে থাকবে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করবেন অপারেটররা। এজন্য অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তারানা বলেন, অপারেটরদের মধ্যে এ নিয়ে পারস্পরিক মতৈক্য হয়েছে। সব অপারেটর নির্ধারিত সময়ে এ প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের এই উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর প্রায় এক কোটি গ্রাহকের নিবন্ধন যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি সিম। সম্প্রতি একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম তোলা হয়েছে। আরও তিনটি এনআইডি পাওয়া গেছে, যেগুলোর বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬টি, ১১ হাজার ৩২৮টি ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে বলেও যাচাইয়ে ধরা পড়ে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির শুরু করার ঘোষণা আসে এ সময়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *