তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি পৃথিবীর যেসব জায়গায়

Slider বিচিত্র


এবার বৈশাখ শুরু থেকেই তীব্র খরতাপ। জনজীবনে চলছে হাঁসফাঁস অবস্থা। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়াই দায়।

এই মৌসুমে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু বিশ্বের উষ্ণতম স্থানগুলোর কথা ভাবলে এ গরম কিছুই নয়। এখানে উল্লেখ করা হলো সেরকম কয়েকটি জায়গার কথা।

ফার্নেস ক্রিক, ডেথ ভ্যালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: অনেকে এই অঞ্চলকে ডেথ ভ্যালি বা মৃত্যু উপত্যকাও বলেন। ১৯১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানকার তাপমাত্রা ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। হাড় কাঁপানো শুষ্ক বাতাস ফার্নেস ক্রিকের বৈশিষ্ট্য।

কেবিলি, তিউনিশিয়া: সাহারা মরুভূমিতে অবস্থিত কেবিলি জ্বলন্ত তাপমাত্রা এবং খেজুর গাছের জন্য বিখ্যাত। এখানকার গড় তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩১ ডিগ্রি ফারেনহাইটকেও ছাড়িয়ে যায়।

তুর্বাত, পাকিস্তান: বেলুচিস্তানের একটি জায়গার নাম তুর্বাত। গ্রীষ্মকালে ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৮.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা থাকে। তবে তীব্র গরমেও দিব্যি সময় কাটান এখানকার বাসিন্দারা।

মিত্রিবাহ, কুয়েত: এই প্রত্যন্ত অঞ্চলেই এশিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী, এখানকার গড় তাপমাত্রা ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১২৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

তিরাত তজভি, ইসরায়েল: জর্ডান উপত্যকায় অবস্থিত এ অঞ্চলের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যায়। অবাক করা বিষয় হলো, তিরাত তজভি কৃষি প্রধান অঞ্চল। চরম তাপমাত্রাতেও দিব্যি ফসল ফলান এখানকার কৃষকরা।

আহভাজ, ইরান: দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানের প্রধান শহর আহভাজ। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও চিরন্তন চেতনার ধারা বহমান। এখানে সাধারণ তাপমাত্রা ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।

মেক্সিকালি, মেক্সিকো: সোনোরান মরুভূমিতে অবস্থিত মেক্সিকালির বাসিন্দারা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৫.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা সহ্য করেন। মেক্সিকান সংস্কৃতি ও মরুভূমির জন্য পর্যটকদের প্রিয় এ শহর।

আল জাজিরা বর্ডার গেট, সংযুক্ত আরব আমিরাত: এটা ছোট ফাঁড়ি। এ পথে সীমান্ত পারাপার করেন মানুষ। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানকার গড় তাপমাত্রা ৫২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১২৫.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *