বাংলাদেশী নাবিকদের হত্যার হুমকি জলদস্যুদের

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


সোমালিয়ার জলদস্যুরা মঙ্গলবার দুপুরের বাংলাদেশের জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ দখল করে ২৩ জন নাবিককে বন্দী করেছে।

জলদস্যুদের হাতে বন্দী জাহাজের চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীর কাছে অডিও মেসেজ পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যম জানাচ্ছে, সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।’

ওই জাহাজে ২৫ দিনের মতো খাবার আছে এবং ২০০ টন খাবার পানি আছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০ জনের মতো জলদস্যু জাহাজে আছে।

জাহাজটি মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছিল। বাংলাদেশের সময় বেলা দেড়টার দিকে সোমালিয়া জলদস্যুরা জাহাজে উঠে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ নেয়।

জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজটিতে থাকা ২৩ জন নাবিকের সবাই বাংলাদেশী। জাহাজটির মালিক হলো চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেড।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকে এমটিও) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে। জলদস্যুরা একটি বড় ও একটি ছোট নৌযানে করে আসে। তারা ওই এলাকায় চলাচলকারী অন্য জাহাজগুলোতে সতর্ক করে দিয়েছে।

এসআর শিপিংয়ের সিইও মোহাম্মদ মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজ থেকে তাদের বার্তা পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, ‘জাহাজ পুরোপুরি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। আমাদের ২৩ জন নাবিক ও ক্রু জাহাজে আছেন। জলদস্যুরা তাদের বন্দী করেছে। তাদের জাহাজের কেবিনে রেখেছে। আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’

অপর একটি গণমাধ্যমে চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খানের মা শাহনূর বেগমের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন তারা ইফতার করছিলেন, তখন ফোন করেন আতিক। সে বলেছে, চিন্তা না করার জন্য। চারদিকে বন্দুক নিয়ে জলদস্যুরা পাহারা দিচ্ছে। জাহাজের কর্মীদের কেবিনে রাখা হয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *