বিএনপি নেতা হিরা খানের কবর জিয়ারত করছেন জয়নুল আবেদিন

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

রমজান আলী রুবেল শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ গণতন্ত্র হত্যা করে আইয়ুব খান ,এরশাদ টিকে থাকতে পারেনাই। পৃথিবীতে কেও টিকে থাকতে পারে নাই। এই সরকার ও পারবেনা। মঙ্গলবার (২৬ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামে কারাগারে বন্দি অবস্থায় নিহত বিএনপির নেতা আসাদুজ্জামান খান হিরার পরিবারের খোঁজ নিতে এসে একথা বলেন।
জয়নুল আবেদিন আরো বলেন, সরকার মানবতায় বিশ্বাস করেনা।যারা জেল খানায় বন্দি থাকে তাদের স্থাস্থ্যের রক্ষার দায়ীত্ব সরকারে।
গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করার কারণে তাদেরকে জেলে পুড়ে হত্যা করা হয়েছে।

দ্বাদশ নির্বাচন প্রসংগে তিনি বলেন, সরকার একতরফা নির্বাচন করেছে। এটি ফ্যাসিষ্ট সরকার। ড্যামি নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করেছে। এ নির্চবানেক এ দেশের মানুষ তথা বিশ্ববাসী মেনে নেয়নি। জনগণ নির্বাচন প্রত্যাক্ষান করেছে। দেশের একটি বৃহদ দল বিএনপি। দলের কোন নেতা কর্মী সমর্থ নির্বাচন বজর্ন করেছে। দেশের ৯৫ভাগ মানুষ নির্বাচন বজর্ন করেছে।ফ্যাসিষ্ট সরকার অনতি বিলম্বে বিদাই নেবে।

তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মী দের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আগামীতে সরকারের বিরোদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে। তৃণ মূলের বিএনপি আনেক শক্তিশালী। আন্দোলন হবে আরো বেশী বেগবান।আন্দোলন করে সরকারকে বিদাই করা হবে।

বিএনপির সিনিয়র ভাইসপ্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নির্দেশনায় দেশ ব্যাপি নিহতদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে হিরা খানের বাড়িতে আসা।

এসময় তিনি বলেন মার্কিন প্রততিনিধি দল এসে বিএনপির মহাসচিব সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছেন।অনেক কথা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.মো. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য ওমর ফারুক সাফিন,জেলা ববিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মো. শাহজাহান ফকির, সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুল আলম মাষ্টার,জেলা বিএনপির নেতা মো.আ. সোতালেব,ডা. মো. শফিকুল ইমলাম,পৌর বিএনপির ভার ট্রাপ্ত সভাপিত মারুফ শেখ,সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেস বেপারী সহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নৃতৃ বৃন্দ।

জয়নুল আবেদিন নিহত বিএনপি নেতা হিরা খানের কবর জিয়ারত করেন। পরে তার স্ত্রী সন্তানদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

নিহত আসাদুজ্জামান খান হিরা উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নেন ধামলই গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন খানের ছেল। তিনি ওই ইউনিয়নের ৬নংওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৮অক্টোবর ঢাকাস্বিথ্য বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশে অংশ নেন হিরা। রাতে বাড়ি ফেরার পথে শ্রীপুর রেল স্টেশন থেকে গ্রেফতার হন তিন। শ্রীপুর থানার একটি বিষ্ফোক দ্রব্য আইনের মামলায় তাকে ২৯ অক্টোবর আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। কাশেমপুর কেন্ত্রিয় কারাগার -২ এ থাকাবস্থায় এক ডিসেম্বর সকাল দশটারদিকে বুকে ব্যথা অসুস্থ হন হিরা। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন দুই ডিসেম্বর নিজ গ্রামের পারিবারিক কবর স্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *