গাজীপুর মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে গরু বিতরন করলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

Slider টপ নিউজ

minister

 

 

 

 

 

 

 

গাজীপুর: ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে চাাঁদাবাজী বন্ধে মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৫৭টি সহ প্রায় একশ গরু বিতরণ করা করা হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিমুদ্ধ মন্ত্রী ওই গরু বিতরন কার্যক্রম উদ্ভোধন করেছেন।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী( পরে সরে দাঁড়ানো) আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম নিজের জমি বিক্রি করেও ওই গরু গুলো ক্রয় করেন।

শুক্রবার(১৪ আগষ্ট) দুপুরে গাজীপুর মহানগরের মালেকের বাড়ি হারিকেন ফাক্টরী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড.আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে গরু বিতরন কার্যক্রম উদ্ভোধন করেন।

এসময় গাজীপু মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশীদ, গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি এ্যাড, ওয়াজ উদ্দিন মিয়া ও গরু দাতা গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা থাকলেও উৎসুক জনতার আগ্রহ ছিল গরু বিতরণ উৎসবের দিকে।

এদিকে বৃহসপতিবার( ১৩ আগষ্ট) বেলা সোয়া ১টায় জাহাঙ্গীর আলম ফোন করে ওই সংবাদটি আগেই জানিয়েছিলেন। ।

জাহাঙ্গীর আলম জানান, ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক শ্রেনীর সুবিধাবাদী মানুষ দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজী করে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করেন। শোক দিবসে চাঁদাবাজী বন্ধে নিজের জমি বিক্রি করে তিনি ওই গুরুগুলো ক্রয় করেছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় গাজীপুর মহানগরের মালেকের বাড়ি এলাকার হাড়িকেন ফ্যাক্টরী সংলগ্ন একটি স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ওই সব গুরু বিতরণ করবেন।

জাহাঙ্গাগীর জানান, গাজীপুর মহানগরের ৫৭টি ওয়ার্ডে মূল দলের জন্য একটি করে ৫৭টি ও অংগ সহযোগী সংগঠনের জন্যও গরু দিবেন তিনি। তবে সব মিলিয়ে প্রায় একশত গরু বিতরণ হতে পারে বলে দলীয় সূত্রের দাবি।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে গাজীপুর সদর রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখক মোঃ রায়হানের ওয়ালে জাহাঙ্গীর আলমের জমি বিক্রির দলিলে স্বাক্ষর করার ছবি প্রকাশিত হয়।

গাজীপুর অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক এম কবিরের ফেইসবুক ওয়ালে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় সাভারের আশুলিয়া গরুর হাটে জাহাঙ্গীর আলমের গরু ক্রয়ের ছবি প্রকাশিত হয়।

২০০৯ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে বাংলাদেশের সবচেযে বেশী ভোটে গাজীপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে আনারস প্রতীক পান তিনি। আনারস প্রতীক নিয়ে প্রথম প্রচারণায় নামার সঙ্গে সঙ্গে টঙ্গীর আনারকলি সিনেমা হলের সামনে থেকে রহস্যজনক ভাবে তাকে উদাও করে দেয়া হয়। কিক্ষু সময় পর দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম বৈঠক করছেন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্রেকিং নিউজ আসে। অতঃপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, আওয়ামীলীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী এ্যড.আজমত উল্লাহ খানের সমর্থনে জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অতঃপর কিছুদিন গনমাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমের নিউজ ছিল প্রধান শিরোনাম।

ওই নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম আজমত উল্লাহ খানের পক্ষে প্রচারণায় নামেন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নানের কাছে পরাজিত হন আজমত উল্লাহ খান। ইতোমধ্যে মেয়র মান্নান জ্বালাও পোঁড়াও মামলায় কারাগারে থাকায় ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান আওয়ামীলীগ দলীয় ও আজমত উল্লাহ খান সমর্থিত কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *