ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাগেরহাটের রাজাকার কমান্ডার শেখ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মাস্টারকে মৃত্যুদণ্ড ও খান আকরাম হোসেনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। হত্যা-গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন এবং শতাধিক বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাতটি অভিযোগের মধ্যে ৬টিই প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে যেভাবে সুবিধাজনক, সেভাবে সিরাজের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলার তিনজন আসামির মধ্যে অন্যজন আব্দুল লতিফ তালুকদার গত ২৮ জুলাই মারা গেছেন। ফলে গত ৫ আগস্ট তাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তাই তার কোনো দণ্ড ঘোষিত হয়নি।
সাতটি অভিযোগের মধ্যে সিরাজ মাস্টার ছয়টিতে এবং খান আকরাম ৩টিতে অভিযুক্ত হন। সিরাজ মাস্টারের বিরুদ্ধে আনা ছয়টির মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত অভিযোগের সবগুলোতেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আকরাম তার তিন অভিযোগের মধ্যে প্রমাণিত একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন।
অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল বাগেরহাটের শাঁখারিকাঠি বাজার, রনজিৎপুর, ডাকরা ও কান্দাপাড়া গণহত্যাসহ ৮ শতাধিক মানুষকে হত্যা-গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন এবং শতাধিক বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।