১ বলে ১১, শেষ ওভারের থ্রিলারে জয় জিম্বাবুয়ের

Slider খেলা


শেষ ওভারের রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা শেষে অবিশ্বাস্য জয় পেল জিম্বাবুয়ে। কলম্বোতে মঙ্গলবার শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে হারাল পুরোপুরি বিস্ময় জন্ম দিয়ে। ৬ বলে ২০ রানের সমীকরণ পাড়ি দিলো ১ বল হাতে রেখেই। তাতে জিততে জিততে পা ফসকালো লঙ্কান সিংহরা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। মাঠে তখন লুক জঙ্গী ও ক্লাইভ মাদানদে। বোলার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তবে অভিজ্ঞ এই বোলার পারলেন না। ৫ বলেই দিলেন ২৪ রান। ফলে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটে জয় পেল সিকান্দার রাজার দল।

ম্যাথিউস প্রথম বলে দিলেন ১১! মানে প্রথম বলটি ছিল নো এবং সেই বলে হজম করে ছক্কা। ফ্রি হিটে লুক জঙ্গীর কাছে হজম করেন বাউন্ডারি। সমীকরণ নেমে আসে ৫ বলে ৯ রানে। যে ওভারের শুরুতে পিছিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে, তারাই তখন পরিষ্কার ফেবারিট। পরের বলেও এলো ছক্কা।

তখনো চার বলে প্রয়োজন ৩ রান। তবে পরের ২ বলে ১ রান দিয়ে ম্যাথিউস জমিয়ে তুলেছিলেন আরো। তবে শেষ ২ বলে যখন দরকার ২, তখন ক্লাইভ মাদান্দে হাঁকান বিশাল ছক্কা। আর তাতেই নিশ্চিত হয় জিম্বাবুয়ের জয়। সিরিজেও ফিরলো ১-১ সমতা।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আগে ব্যাট করতে নেম ৬ উইকেটে ১৭৩ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের হয়ে ২৯ বলে ঝড়ো ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন চারিথ আসালঙ্কা। এ ছাড়া ম্যাথিউসের ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ বলে অপরাজিত ৬৬ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি এবং জঙ্গি।

বিপরীতে জিম্বাবুয়ের জয়ের ভিতটা গড়ে দেন ক্রেইগ আরভিন। ১৩.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান যোগ করে জিম্বাবুয়ে। ওপেনাররা দ্রুত ফিরলেও তিনে নেমে ব্রায়ান বেনেট খানিকটা সঙ্গ দিয়েছেন আরভিনকে। দুজনে মিলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি।

যেখানে বেশির ভাগ রানই করেছেন ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া আরভিন। ২৫ রান করা বেনেট ফিরে গেলে ভাঙে তাদের এই জুটি। দারুণ অবস্থায় থাকলেও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি রাজা এবং শন উইলিয়ামস। ফলে চাপে পড়ে সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ের আরও চাপ বেড়ে যায় ৫৪ বল খেলে ৭০ রান করা আরভিনের বিদায়ে।

আরভিন যখন ফেরেন তখনও জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ৪৩ রান। তবে সেই সমীকরণ দারুণভাবে মিলিয়েছেন জঙ্গী এবং মাদান্দে। জঙ্গুী ২৫ এবং মাদান্দে অপরাজিত ছিলেন ৫ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলে। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মাহিশ থিকশানা এবং দুশমন্থ চামিরা। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মাদুশঙ্কা এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *