শেরপুরে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

Slider রাজশাহী

মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃবগুড়ার শেরপুরে সপ্তাহ জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের তান্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।গত রবিবার ১৪ জানুয়ারী/২৪, সকাল ৯টা তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর রাত থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে শেরপুর এর জনপদ। ৫ দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য মামার। হিমেল বাতাস বইছে। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে সূর্য। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন খুদে শিক্ষার্থীসহ নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা। কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও শীতের প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না অবহেলিত শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মিলছে না প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কাপড়। রাস্তায় চলা ভবঘুরে মানুষরাও পড়েছে দূর্ভোগে। অনেকেই দিনের বেলায় খড় কুটো জালিয়ে শীতের তীব্রতা থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।ভ্যান শ্রমিক আবুল কালাম(সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নাকুয়া [শরিক পাড়া], নিবাসী) আমিনুল নাম নাজানা অনেকে বলেন, কুয়াশা থাকলেও করার কিছু নাই । আমরা গরীব মানুষ, গত দুইদিন ধরে ভ্যান চালাতে পারিনি। আজ বাধ্য হয়েই ভ্যান নিয়ে বেড়িয়েছি। ভাড়া খেটে পেটে ভাত জোগাড় করতে হবে। আরেক ভ্যান চালক খোদাবক্স বলেন, একদিকে ঠান্ডা, তার মধ্যে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চায় না কেউ। তাই ভাড়া মারতে পারছি না। কয়েক দিন ধরেই ভাড়া নেই। গতকাল সারাদিনে মাত্র ১৫০ টাকা ভাড়া খেটেছিলাম। এটা দিয়ে কি চারজন মানুষের সংসার চলবে। দিন মজুর শুক্কুর আলী জানান, খুব ঠান্ডা। কিন্তু কি করবো। দিন মজুরী করে সংসার চলে। তাই কুয়াশা আর ঠান্ডার মধ্যেই কাজ করতে যাচ্ছি। কাজ না করলে চলমু কেমন করে। তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। শীতের কারণে শহরের ফুটপাতসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। রাতে ও সকালে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে শীতজনিত সর্দি-কাশি, হাঁপানি, পেটের পীড়া, কোল্ড ডায়রিয়া রোগীদের ভিড় বেড়ে গেছে। রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *