দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে কাল থেকেই ‘অ্যাকশন’

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে মাঠে কার্যক্রম দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা জানান।

নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। বাজারে সব সবজির দাম বেড়েছে। মাছ মাংসের দামও বাড়তি। কিন্তু প্রশাসনের দৃশ্যমান অ্যাকশন নেই— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেন, কালকে থেকে কী হয়। কাল থেকে নিশ্চয়ই কার্যক্রম দেখবেন, আমি আশা করছি।

ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় সেগুলোর সরবরাহ পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে কাজ করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি নির্দেশনা তুলে ধরে সচিব বলেন, আপনারা জানেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে একটি নির্বাচনী ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, ইশতেহারে ওই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে ভিত্তি করে তারা যেন এখনই কর্মপরিকল্পনা নেন। সেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে মনিটরিং করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি উৎপাদনের কথা তিনি বলেছেন। কৃষি উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন এবং একইসঙ্গে কৃষিপূর্ণ সংরক্ষণের সংরক্ষণাগার এরইমধ্যে কিছু তৈরি করা হয়েছে আরও তৈরি করার জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চারটি স্তম্ভের কথা আমরা জানি। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ— এই চারটি স্তম্ভকে কেন্দ্র করে সব মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে যে ওই মন্ত্রণালয় যে অংশের সঙ্গে জড়িত, সেই অংশটুকু যেন তারা পরিকল্পনা এবং সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেগুলো আছে সেগুলো যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা পায় সেটি মনিটরিং করার জন্য উনি নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, নারী উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নে সাফল্যের যে ধারা তৈরি হয়েছে সেটি যেন কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। রপ্তানি বহুমুখী করণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন-নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং সে বাজারে প্রবেশের জন্য কীভাবে সহায়তা করা যায় সে নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন। বিশেষ করে তিনটি পণ্যের ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাতপণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য— এই তিনটি পণ্য। গার্মেন্টসকে যেভাবে সহায়তা করা হয়েছিল বিকাশে, প্রয়োজনে সেরকম সহায়তা দিয়ে তিনটি ক্ষেত্রে যেন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন যে, আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে, যাতে করে সেটি যেন কর্মমুখী হয়। ফ্রিল্যান্সিং যেন আরও বাড়তে পারে সে ব্যাপারে তিনি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। একইসঙ্গে যুব সমাজকে খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে বলেছেন যাতে করে তারা মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *