দুইটি খাট ছাড়া কোনো আসবাবপত্র নেই এমপি প্রার্থী রুপার

Slider টপ নিউজ

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে কংগ্রেস প্রার্থী রুপা রায় চৌধুরীর দুইটি খাট ছাড়া আর কোনো আসবাবপত্র নেই। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নগদ ১ হাজার ও ব্যাংকে মাত্র এক হাজার টাকা রয়েছে। এ ছাড়া অস্থাবর সম্পত্তি বলতে কিছু নেই। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন রুপা রায়। যদিও রাজনীতিতে কেউ তাকে তেমন না চিনলেও স্থানীয় সরকার থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বারবার অংশগ্রহণ করায় আলোচনায় আসেন তিনি। তবে প্রতিবারই তাকে জামানত হারাতে হয়েছে।

রুপা রায় উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের হিমাংশু শেখর রায় চন্দনের স্ত্রী। রুপা রায় একজন কৃষক ও গৃহিণী। তার তিন ছেলে রয়েছে। নির্বাচনে তার স্বামী ও ছেলেরা তার কর্মী হিসেবে কাজ করেন।

হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, এমপি প্রার্থী রুপা রায়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বর্তমানে কৃষিখাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ১০ হাজার টাকা। নির্ভরশীলদের চাকরি থেকে আয় করেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪০ টাকা। এ ছাড়া তার কোনো আয় নেই। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় তার বাৎসরিক আয় ছিল ৩২ হাজার টাকা। আর নির্ভরশীলদের চাকরিসহ আয় ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৪০০ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি বলতে তার হাতে বর্তমানে নগদ রয়েছে ১ হাজার এবং ব্যাংকে রয়েছে ১ হাজার টাকা। এ ছাড়া স্বামী ও তার নামে নগদ ১০ হাজার এবং ব্যাংকে রয়েছে ৯৬ লাখ ৩ হাজার ৯৬ টাকা ২১ পয়সা। আসবাবপত্রের মধ্যে শুধু দুইটি খাট রয়েছে। যার মূল্য ৮ হাজার টাকা। তবে ২০১৮ সালে তার নগদ ১৮ হাজার টাকা এবং নিজের ও স্বামীর নামে এক হাজার টাকা ছিল।

এদিকে বর্তমানে স্থাবর সম্পত্তি বলতে নিজের ও স্বামীর নামে ১১৫ শতাংশ জায়গা ছাড়া আর কিছুই নেই। এই জমির মূল্য ধরা হয়েছে ২৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০১৮ সালের হলফনামায় জমির পরিমাণ ছিল ৬৯ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *