শাহজাহান ওমর শান্তির পক্ষে, তাই জামিন পেয়েছেন : ড. রাজ্জাক

Slider রাজনীতি


আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নাশকতার মামলা থেকে জামিন পাওয়া শাহজাহান ওমর শান্তির পক্ষে, তাই জামিন পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।

বিএনপি থেকে সদ্য পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। নাশকতার মামলায় জামিন পেয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

আপনারা যখন বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন, তখন বিএনপির অন্য নেতারা কারাগারে। আবার শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাহলে বিচার বিভাগ স্বাধীন হয় কিভাবে- এমন প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যারা সহিংসতায় জড়িত, তারা গ্রেফতার হয়েছেন। সহিংসতা তো একজন কর্মী করেন, সেজন্য নির্দেশ দিতে হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো আর বিচারপতির বাসায় হামলা করেননি, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। যিনি নির্দেশ দিয়েছেন তাকে কারাগারে থাকতে হবে। এটা না করলে দেশে আরো বেশি সন্ত্রাস হতো।

তিনি বলেন, শাহজাহান ওমর শান্তির পক্ষে, সহযোগিতা করছেন। কাজেই তিনি জামিন পেয়েছেন।

শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগ থেকে কেন নির্বাচন করছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দরজা তো বন্ধ না। ১৯৭০ সালেও আমরা মুসলিম লীগের অনেক লোককে দলে নিয়েছি। মানুষ তার মতাদর্শ পরিবর্তন করেন, এটা সারা পৃথিবীতেই হয়। যুক্তরাজ্যে চার্চিলের মতো নেতাও দল পরিবর্তন করেছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সবার অংশগ্রহণে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

নিজেরা নিজেরা কিভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়- এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, যোগ্য, নিবেদিত, অঙ্গীকারাবদ্ধ কাউকে যেন জনগণ ভোট দেন। আমরা নৌকার প্রার্থী দিয়েছি, ভোট দিলো না, এটা তো ভোটারদের পছন্দ। তারাই পছন্দের জনপ্রতিনিধি ঠিক করে দেবে।

বিএনপি যেখানে নির্বাচনে আসছে না, সেখানে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে কি না- এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কেন আসবে না? দু’জন যদি প্রার্থী হয়? আমাদের কাছে তথ্য আছে, আমাদের অনেক স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিযোগিতায় আছেন। তারা অনেক সম্ভাবনাময়। কাজেই আমরাও চাই আমাদের নৌকার প্রার্থীরা নিজেদের প্রমাণ করে সংসদে আসুক। তার প্রমাণ করুক যে তারা মানুষের জন্য ভালো কাজ করেছেন, নিবেদিত ছিলেন।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ কী- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো বেশিরভাগ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এটি অস্বীকার করলে চলবে না যে বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, তারা এলে নির্বাচন আরো গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু তারা না এলে আমরা কী করব, আমরা তো চেষ্টা করেছি তাদের আনার জন্য।

ড. রাজ্জাক বলেন,‘বিএনপি নির্বাচনে না এলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের তো জোর করে নির্বাচনে আনতে পারি না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *