বিরোধীদলের আয় থেকে ব্যয় বেশি

Slider জাতীয় রাজনীতি

japa_450916664ঢাকা: প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ২০১৪-১৫ পঞ্জিকা বছরে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি করেছে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা দলটির আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।   বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করেন। এ সময় দলটির যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও যুগ্ম দফতর সম্পাদক আবুল হাসান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।   জানা যায়, ১ জুলাই ২০১৪ থেকে ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন খাত থেকে দলটি আয় করেছে ৯৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আর ব্যয় করেছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বাড়তি টাকার ব্যয় যোগান দিয়েছে ২০১৩-২০১৪ পঞ্জিকা বছরের ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ থেকে। ওই বছর ব্যাংকে গচ্ছিল অর্থ ছিল ৫৬ লাখ ২২ হাজার ৮৩১ টাকা।   এদিকে দলটি কর্মী ও নেতাদের চাঁদা থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। এখাতে আয় দেখানো হয়েছে ৪১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এছাড়া অনুদান ২২ লাখ ২৬ হাজার, প্রকাশনা থেকে ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৩ টাকা ও দলীয় ফরম বিক্রিসহ অনান্য খাত থেকেও আয় দেখিয়েছে জাতীয় পার্টি।   অন্যদিকে প্রচারণা, পেন্টিং, সভা-সেমিনার, কর্মীসভা, অফিস, ইউটিলিটি বিল প্রভৃতি খাতে ব্যয় দেখিয়েছে দলটি।   আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনের বিগত পঞ্জিকা বছরের হিসাব দাখিল করতে হয়। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা না দিলে সে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। সে মোতাবেক গত ১৭ জুন দেশের ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে গত পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়া জন্য নির্দেশ দিয়েছিল ইসি। ওই নির্দেশনায় দলগুলোকে অডিট ফার্ম দ্বারা দুইটি ছকে মোট ২০ ধরনের তথ্য দিতে বলা হয়েছিল।   ইসির নির্দেশনার পর জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফ্রন্টসহ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে।   অন্যদিকে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এক মাস এবং বিএনপি দেড় মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনও এক মাস সময় চেয়েছে।   গত বছরও আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বেশ কয়টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল। সে সময় এক মাস বাড়িয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *