দেশে একসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে পূজা করতে হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয়

সারা দেশে আনন্দঘন পরিবেশে দূর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার পূজামণ্ডপ হয়েছে। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে পূজা করতে পারছেন। অথচ এই দেশে একসময় এমনও ঘটনা ঘটেছিল যে, মণ্ডপে পূজা না করে ঘরে বসেই পূজা করতে হয়েছে।’

রবিবার (২২ অক্টোবর) রামকৃষ্ণ মিশনে দুর্গাপূজা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে দুপুরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সব ধর্ম-বর্ণের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে ধর্ম নিরপেক্ষ অর্থা‌ৎ সব ধর্মের মানুষ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে সেটা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত‌্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে আবার ধর্ম নিরপেক্ষতা। অর্থাৎ সব ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছি। সব ধর্মের মানুষের ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে এমন একটি দেশ, যেখানে সবাই মিলেমিশে উৎসব উদযাপন করে থাকি। এটাই বাংলাদেশের সব থেকে সৌন্দর্য। এখন সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার পূজামণ্ডপ হয়েছে এবং আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা করতে পারছেন। অথচ এই দেশে একসময় এমনও ঘটনা ঘটেছিল যে, মণ্ডপে পূজা না করে শুধু ঘরে বসেই পূজা করতে হয়েছে। সেই এরশাদের (সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) আমলে, খালেদা জিয়ার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া) আমলে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ নেতারা সব সময় একসঙ্গে কাজ করি। আপনাদের পাশে সবসময় আছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পূজামণ্ডপের নিরাপত্তার জন‌্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি যার যার অবস্থান থেকে সবরকমের শান্তি বজায় রাখতে কাজ করতে।’

দেশে খাদ‌্যের কোনও অভাব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ স‌্যাংশন কাউন্টার স‌্যাংশনের ফলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। বিশ্বব‌্যাপী প্রচন্ত খাদ‌্যমন্দা।‌ বাংলাদেশও একই ধাক্কা সামাল দিতে হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ‌্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ‍উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশ সবার। আপনারা কখনও নিজেদের ছোট মনে করবেন না। সবসময় মনে করবেন এই মাটি আপনাদের। এই মাটিতে আপনারা জন্মগ্রহণ করেছেন। এখানে আপনারা সকল অধিকার নিয়েই বসবাস করবেন। আমরা ক্ষমতায় থাকতে সেই নিশ্চিয়তা আমরা দিয়ে থাকি এবং পাশে আমরা থাকবো। আমরা চাই দেশ এগিয়ে যাক। সবাই সুন্দরভাবে বসবাস করুন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *