গাজীপুর-ময়মনসিংহ সংযোগ সেতু’র সড়ক ভেঙ্গে গেছে

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

গাজীপুর: গাজীপুর ময়মনসিংহ সংযোগে নির্মিত কাপাসিয়ার টোক বানার নদীর উপর বানার সেতু’র কাপাসিয়া অংশের দুই পাড় ভেঙে গেছে।এতে সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

গত ২ নভেম্বর ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এই সড়কটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহ স ও জ, সড়ক সার্কেল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলম জানান, বানার সেতু’র মুখে ভেঙ্গে যাওয়া সড়কটিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উদ্ভোধনের তিন বছরের মাথায় কেন ভেঙে গেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন,কিছুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে এমন হতে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুর কাপাসিয়া টোক-গফরগাঁও সড়কের কাপাসিয়ায় বানার সেতুর মুখের অংশের দুই পাশে সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলি বাঁকা হয়ে গেছে।সেতুর দক্ষিণ পাশের পশ্চিম অংশে বিরাট ভাঙন দেখা গেছে।ভাঙ্গণের ভিতরের বালিগুলো কৃষকের ফসলী জমিতে পড়েছে।সেতুতে সাবধানতা অবলম্বন করে যান চলাচল করছে।কৃষকেরা ফসলি জমি’র ক্ষতিগ্রস্থ অংশে দাঁড়িয়ে আছে।

কৃষক সোলায়মান, এখলাস ও দুলাল জানান, সেতুর মুখে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় মুদি দোকানী আবুল হাসান বলেন, এইখানে কাজে দুর্নীতি হইছে। যেসব পিলার বসানো হইছে পিলারগুলোতে কাজ ভালো হয়নাই। এর আগেও ভেঙ্গে গেছে।মেরামত করে আবার ভেঙ্গে যায়।

স্থানীয় সফিকুল আলম বলেন, শুনছি, এটার জন্য কয়দিন পর পর বাজেট আসে। ভালোভাবে কাজ করেনা।কয়েক দিন পর পর ভেঙ্গে যায়।যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হয়।

পথচারি সাইফুল্লাহ লাবিব বলেন, এই ব্রিজ হইছে খুব বেশি দিন হয়নি। কাজের গাফিলতির কারণে এবং ঠিকাদারের নজরদারির অভাবে অল্প বৃষ্টি হলেই ভেঙ্গে যায়। এভাবে যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে ভবিষ্যতে মূল সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হবে।এটা দুইটা জেলার সংযোগ সেতু। প্রচুর লোকজন আসা যাওয়া করে।

সেতু উত্তর অংশে রশিদ দিয়ে টাকা আদায়কারী শুভ জানান, ভেঙে যাওয়া সড়কের ব্যাপারে ইজারাদার কতৃপক্ষকে জানাবে।আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।

এলজিইডি’র কাপাসিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন বলেন,বানার সেতুর মুখে ভেঙে যাওয়া সড়কটির খোঁজ নিতে লোক পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খাঁন বলেন, আমি সরেজমিনে ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক পরিদর্শণ করেছি। আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *