তিস্তা অববাহিকায় ধেয়ে আসছে ভয়াবহ বন্যা

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


ভারতের সিকিমে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া এবং প্রবল বর্ষণের কারণে বুধবার বিকেলে বাংলাদেশের তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

উত্তরাঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানিয়েছেন, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডব্লিউসি) -এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানিসমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গজলডোবা পয়েন্টে পানিসমতল বিগত মধ্যরাত হতে প্রায় ২৮৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে (বর্তমান পানি সমতল ১১০.৩০ মি.) এবং দোমুহুনী পয়েন্টে আজ সকাল হতে প্রায় ৮২ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

পাউবোর এই কর্মকর্তা আরো জানান, বুধবার বিকেল নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাতে বিপৎসীমার ৫০ সে.মি. উপর পর্যন্ত উঠতে পারে। এছাড়াও তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টের পানি ভোর নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হবে। তলিয়ে যাবে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল।

আবহাওয়ার এই সতর্কবার্তা পেয়ে অববাহিকার মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন। সবাইকে নিরাপদে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ অংশের ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার ভারত অংশের পানি আঘাত হানবে। এ কারণে সকাল থেকেই ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। এই ব্যারেজের কপাটগুলো দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ লাখ কিউছেক পানি তিস্তার ভাঁটিতে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এনিয়ে ১২তম বারের মতো বাড়লেও তিস্তার পানি। বন্যার ধরন বড় হওয়ায় এই অঞ্চলের আমনের আবাদ, আগাম শীতের শাক সবজির ক্ষেতের বিশাল ক্ষতি হবে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *