পরীমণির ছয় বিয়ের একটিও টেকেনি

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

এগারো বছরে ছয় বিয়ের একটাও টেকেনি ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির। এই হাফ ডজন বিয়ের মধ্যে অবশ্য তিনটি বিয়ে তিনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। বাকিগুলো নিয়ে নানান সমালোচনায় তিনি সত্যতা স্বীকার না করলেও অস্বীকার করেননি। বিয়ের শুরুটা ২০১০ সালে। পরীমণি তখনো রুপালি পর্দায় আসেননি।
এসএসসি পাসের আগেই স্মৃতি ওরফে পরীমণি নানার কথামতো গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। দুই বছর পর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এ খবর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে হঠাৎ ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এমনকি সে সময় বিয়ের ছবি, কাবিননামা ও তালাকনামার ছবিও প্রকাশ পায়। এক ফেসবুক আইডি থেকে ছবিগুলো শেয়ার করে দাবি করা হয়, পরীমণি ইসমাইল নামের একজনের স্ত্রী। এ বিয়ের সত্যতা কিংবা অসত্যতা নিয়ে পরীমণি তখন তার অবস্থান পরিষ্কার করেননি।

এর পর ২৮ এপ্রিল ২০১২ সালে কেশবপুরের ফুটবলার ফেরদৌস কবীর সৌরভের সাথে পরীমণির বিয়ে হয়। ফেসবুকে সৌরভ কবীরের সাথে তার বিয়ের কাবিননামা এবং কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটিও ভেঙে যায়।

সিনেমায় অভিষেক হওয়ার ঠিক আগের দুই বছর অর্থাৎ নাটকে অভিনয় করার সময় সেতু নামের এক ফটোগ্রাফারের সাথেও বিয়ের খবর শোনা যায় পরীমণির। তাদের নাকি দুই বছরের সংসারও ছিল। তাও টেকেনি। এরপর চলচ্চিত্রে আসার পর পরীমণি তার প্রথম সম্পর্কের কথা আনুষ্ঠানিভাবে জানান ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এক সাংবাদিকের প্রেমে জড়ান তিনি। দীর্ঘ সময় প্রেমের পর বাগদানও হয় এই জুটির। বাকদত্তাকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ঘুরে বেড়ান। কিন্তু সেই সংসার স্থায়িত্ব পায়নি। বিয়ের এক বছর পার না হতেই বিচ্ছেদ ঘটে এ দম্পতির।

এরপর ২০২০ সালের ৯ মার্চ আবারো বিয়ে করেন পরী। সেই রাতে অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজী ডেকে তার সহকারী কামরুজ্জামান রনিকে মাত্র তিন টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। কিন্তু সে বিয়েও বেশি দিন টেকেনি।
ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা শরিফুল রাজকে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে বিয়ে করেছিলেন তারা। সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। এই সংসারও দুই বছরের মাথায় ভেঙে গেল অভিনেত্রীর। স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে শরিফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন তিনি।

যদিও কয়েক বছর ধরে ক্যারিয়ার, সন্তানÑ সবকিছু ঠিক থাকলেও রাজ-পরীর মনোমালিন্যের খবর প্রায়ই উঠে আসত গণমাধ্যমে। তবে এ বিষয়ে রাজ বরাবরই চুপ থাকলেও পরীমণি ঘটা করেই জানান দিতেন তাদের সাংসারিক ঝামেলার কথা। তবে বারবার মিলে গিয়ে তারা ফের শোনাতেন একসাথে থাকতে চাওয়ার আরজিও ।
যদিও সর্বশেষ আর একসাথে থাকা হলো না রাজ-পরীর। ডিভোর্স নোটিশ পাঠানোর মধ্য দিয়ে নিজেদের সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছেন এবার পরীমণি নিজেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *