মার্কিন প্রশাসনের কাছে ২৬৭ বাংলাদেশির চিঠি

Slider বাংলার মুখোমুখি

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জো বাইডেন প্রশাসনের কাছে লেখা ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সত্য তথ্য তুলে ধরে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসাবসরত বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনকরপোরেশন।’

গতকাল শনিবার ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশির স্বাক্ষরযুক্ত এ চিঠি পাঠানো হয়। ৬ কংগ্রেসম্যান হলেন স্কট পেরি, ব্যারি মুর, ওয়ারেন ডেভিডসন, বব গুড, টিম বার্চেট, ও কিথ সেলফ। তারা সবাই বিরোধীদল রিপাবলিকান পার্টির সদস্য।

চিঠিতে বলা হয়, গত এক দশকে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী-পুরুষের সমধিকার, নারী উন্নয়ন প্রগতি, ধর্মীয় সহিষ্ণুতাকে বিবেচনা না করে খুবই সংকীর্ণ আর একচোখাভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হয়েছে। সংগঠনের সদস্যরা চিঠিতে মনে করিয়ে দেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতে ইসলামসহ বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে লবিস্ট ফার্ম দিয়ে এসব অপপ্রচার চালিয়ে থাকে।

চিঠিতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশি খ্রিস্টান কমিউনিটি প্রধানের বক্তব্য এবং বক্তব্যের নিউজের লিংক যুক্ত করে সংখ্যালঘুদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশে তাদের অবস্থানকে তুলে ধরা হয়। তথ্য-প্রমাণে সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে সবাই সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের হয়ে শান্তিরক্ষা করতে গিয়ে বিদ্রোহীদের হাতে নিহতদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনার কারণে এত বিশাল অবদান আর আত্মত্যাগ কি অস্বীকার করবে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের উজ্জ্বল অংশগ্রহণকে নিষিদ্ধ করা কোনোভাবেই নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ব মানবতা রক্ষায় ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছে। এত বিশাল সংখ্যক উদ্বাস্তু পৃথিবীর আর কোনো দেশ একসঙ্গে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। মানবতা রক্ষায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর অবদান তুলে ধরা হয়। শেখ হাসিনা নিজ দেশের স্বার্থের কথা না ভেবে এত বিশাল সংখ্যক অসহায় উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘ থেকে ‘মাদার অব ইউমিনিটি’ হিসাবে স্বীকৃত হন।

গণতন্ত্র নস্যাতের অভিযোগের জবাবে চিঠিতে বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত শাসন আমল ও আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলের পরিসংখ্যান ও উন্নতির গ্রাফ তুলে ধরা হয়।

কংগ্রেসম্যানদের জবাব দেওয়া ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করা বাংলাদেশি আমেরিকানদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ব্যবসায়ী, মার্কিন সরকারি উচ্চপদে কর্মরত বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তরুণরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *