সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য ‘দুঃসংবাদ’

Slider বাংলার মুখোমুখি


সরকারি চাকরিতে আবেদনের ফি বাড়ানো হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে পুনরায় ফি বাড়ানো হলো। নবম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি ৬০০ টাকা এবং এর ওপর সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাটসহ পরিশোধ করতে হবে আরও ৬৯ টাকা।

এবার পরীক্ষার ফির সার্ভিস চার্জের (টেলিটক বাংলাদেশের কমিশন) ওপর ভ্যাট যোগ করে পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির আবেদন ফির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। উপ-সচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে। এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষার ফি নেওয়া হবে। পরীক্ষার ফি বাবদ সংগ্রহ করা অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটককে দিতে হবে এবং কমিশন হিসেবে পাওয়া অর্থের ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসেবে আদায় করা হবে।

পরিপত্র অনুযায়ী, নবম গ্রেডের চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি হবে ৬০০ টাকা। এর সঙ্গে টেলিটককে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ১০ শতাংশ বা ৬০ টাকা দিতে হবে। ৬০ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ বা ৯ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। অর্থাৎ নবম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন করতে গুনতে হবে মোট ৬৬৯ টাকা।

দশম গ্রেডের চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ এবং ৭ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট দিতে হবে। অর্থাৎ দশম গ্রেডের চাকরির জন্য আবেদন করতে ব্যয় হবে ৫৫৭ টাকা ৫০ পয়সা।

১১ ও ১২তম গ্রেডে আবেদন ফি ৩০০ টাকা। এর সঙ্গে ৩০ টাকা সার্ভিস চার্জ ও ৪ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট। মোট দিতে হবে ৩৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা। এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ ২০ টাকা এবং ভ্যাট ৩ টাকা। মোট দিতে হবে ২২৩ টাকা। ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের চাকরির আবেদন ফি ১০০ টাকা। এর সঙ্গে ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ এবং ১ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট। মোট দিতে হবে ১১১ টাকা ৫০ পয়সা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *