পাকিস্তানে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করার আহ্বান পিএমএল-এন ও পিপিপির

Slider সারাবিশ্ব


পাকিস্তানে রাষ্ট্রপতি দুটি বিলে সই করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর দেশটির প্রধান দুটি দল তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে বিল দুটি ফেরত না পাওয়ায় তা আইনে পরিণত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির তত্ত্বাবধায়ক আইনমন্ত্রী।

রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত ‌’আইন দুটির সাথে একমত না হওয়ায় তিনি বিল দুটিতে সই করেননি।

‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ এবং ‘পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট’ নামে পরিচিত বিল দুটিতে সই না করলেও সেগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় ফেরত না দেয়া নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি বলেন, তিনি তার স্টাফকে তা ফেরত দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তা করা হয়নি।

এ ব্যাপারে এক্সে (সাবেক টুইটার) আলভি বলেন, ‘আমি অনেকবার তার কাছ থেকে নিশ্চিত হতে চেয়েছি যে বিল দুটি ফেরত দেয়া হয়েছে কিনা। সে জানিয়েছিল যে তা করা হয়েছে। কিন্তু আজ আমি দেখতে পাচ্ছি যে আমার স্টাফ আমার নির্দেশ মানেনি। আল্লাহ জানেন সবকিছু। তিনি ক্ষমা করবেন ইনশাল্লাহ। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’

শনিবার খবরে প্রকাশিত হয় যে রাষ্ট্রপতি আলভি জাতীয় পরিষদ ও সিনেটে অনুমোদিত ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ এবং ‘পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট’-এ সই করেছেন। ফলে বিল দুটি আইনে পরিণত হয়ে গেছে।

আইনটি পাস হওয়ার পরপরই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাইফার মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় পার্টির সিনিয়র নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশিকেও গ্রেফতার করা হয়।

কিন্তু রাষ্ট্রপতি সই করেননি প্রকাশ করার পর পিপিপির মুখপাত্র ফয়সাল করিম কান্দি ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে অভিহিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে ধরনের ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্য নন। এই লোক জানেন না যে কী ঘটতে যাচ্ছে। এই লোক এমনকি এটাও জানেন না যে কে তাকে পাস কাটিয়ে যাচ্ছে।’

আর এক্সে এক পোস্টে পিএমএল-এন নেতা এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, আলভির বক্তব্য তার কাছে ‘অবিশ্বাস্য’ মনে হচ্ছে। তিনি তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।

এদিকে এক বিবৃতিতে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির কাছে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭৫ অনুযায়ী দুটি বিকল্প ছিল। হয় আইনটিতে সই করা, নয়তো তা ফেরত দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি কোনোটিই করেননি।

মন্ত্রণালয় জানায়, রাষ্ট্রপতি তার দায়দায়িত্ব তার স্টাফের ওপর চাপিয়ে দেয়াটা উদ্বেগের বিষয়।

সূত্র : দি নিউজ, জিও নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *