আবার কী হলো তারকা দম্পতি শরীফুল রাজ ও পরীমণির সংসারে? এমন প্রশ্ন এখন রাজ-পরী ভক্তদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। দাম্পত্য কলহের জের ধরে বেশ কিছুদিন আলাদা থাকছিলেন এই তারকা দম্পতি। তবে একমাত্র সন্তান রাজ্যের জন্মদিনে এক হন তারা। জন্মদিন ঘিরে একসঙ্গে কেকও কাটেন এই দম্পতি। ওই অনুষ্ঠানেই মান অভিমান ভুলে রাজকে জড়িয়ে ধরার ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে।
গেল বুধবার রাতে গানবাংলার কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী দম্পতি তাদের এক করতে মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন। অভিমান ভুলে তারকা দম্পতির এই পুনর্মিলনে তাদের ভক্তদের মাঝেও আনন্দের বন্যা হয়ে যায়। এর মধ্যেই শুক্রবার রাতে দুটি ছবি ঘিরে আবার এই দুই তারকার ভক্তকুলে যেন বাজ পড়েছে।
এর মধ্যে শুক্রবার রাতে রক্তাক্ত মাথা নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান রাজ। মাথার জখমের স্থানে কয়েকটি সেলাই করতে হয়েছে চিকিৎসককে। রাজের ঘনিষ্ঠদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা মাত্র। তবে কোথায়, কীভাবে, কখন রাজের মাথায় এই ক্ষত হয়েছে তা নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি।
এমনকি রাজ-পরীও এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। ঠিক এমন একটি অবস্থার মধ্যেই পরী তার ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায়, তিনি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন। সঙ্গে আরও একটি হাত ধরে রেখেছে তাকে। দুটি হাতেই ক্যানোলা লাগানো।
ছবি শেয়ার করে পরী লিখেছেন ‘উই পরীতমা’। পরীমণি আবার ছবিটি অভিনেত্রী তমা মির্জাকেও ট্যাগ করেছেন। তবে তমা সেই ট্যাগ শেয়ার করেননি।
রাজ-পরীর ঘনিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, তারা তিনজনই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন শুক্রবার দুপুরের পর। রাজ-পরী ও তমার অসুস্থতার ঘটনা এক সূত্রে গাঁথা। রাজের মাথা রক্তাক্ত হওয়া, পরী ও তমার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনাটি কোনো সিনেমা বা নাটকের দৃশ্য নয়। এটি একটি বাস্তব জীবনের চিত্র।
সূত্রটি বলছে, শুক্রবার দুপুরে পরীমণির বাসায় তর্কে জড়ান রাজ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছেলে রাজ্যকে নিয়ে পরীর বাসায় ফেরেন রাজ। রাতটি কোনোমতে পার হলেও সকালের শুরুতেই তর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ফোন করা হয় তমা মির্জা ও নির্মাতা রায়হান রাফিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারাও উপস্থিত হন পরীর বাসায়। তখনো চলছিল দুজনের বাক বিতণ্ডা।
এক পর্যায়ে পরী শক্ত কিছু বস্তু দিয়ে রাজের মাথায় আঘাত করেন। এতে রক্তাক্ত হন রাজ। তাদের ঠেকাতে গিয়ে আহত হন তমা মির্জা। এরপরই তিনজনকে দ্রুত নেওয়া হয় হাসপাতালে। তবে ঘটনার ব্যাপারে রাজ কথা না বললেও পরী-তমা জানিয়েছেন, তারা জ্বরে ভুগছেন! তাদের এই বক্তব্য নানা সন্দেহের ডালপালা ছড়াচ্ছে, জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের।
অন্য একটি সূত্র বলছে, পুরো ঘটনাটি ঘটেছে নির্মাতা রায়হান রাফির রাজধানীর নিকেতন অফিসে। সেখানেই তর্কে জড়ান রাজ-পরী। হাতাহাতিও হয় সেখানেই। সেই সময়ই আহত হন তমা মির্জা।